স্যাটায়ার কার্টুন পেইজের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদ আহসান হাবীবের

স্যাটায়ারধর্মী কার্টুন পেইজ ইয়ার্কির বিরুদ্ধে মামলার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছেন কার্টুনিস্ট ও উন্মাদ ম্যাগাজিনের সম্পাদক আহসান হাবীব।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক কোয়ালিশন কর্তৃক ‘স্যাটায়ার মিম ও কার্টুন-মতপ্রকাশ নাকি মর্যাদাহানি’ শীর্ষক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন লেখক সুমন রহমান, লেখক ফিরোজ আহমেদ, আইনজীবী সারা হোসেন, কার্টুনিস্ট সিমু নাসের, কার্টুনিস্ট মেহেদী হক প্রমুখ।
আহসান হাবীব বলেন, আমাদের চারদিকে অনেক সমস্যা রয়েছে। কিন্তু এসবের মধ্যেও আমাদের হাসতে হবে,কারন হাসাটা জরুরি।
তিনি আরও বলেন, ইয়ার্কির বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে, আমি তার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আমরা একটি সুস্থ ও সুন্দর সমাজ চাই।
আহসান হাবীব বলেন, উন্মাদ ম্যাগাজিনে ফিচার কার্টুন বেশি থাকে। পলিটিক্যাল কার্টুন কমই থাকতো। পলিটিকাল ব্যাপারটা আমরা ফিচার কার্টুনের বক্তব্যের মধ্যে রাখতাম। তবে এতো মামলা আমরা খেয়েছি যে, এসব বিষয়ে অনেকটাই সাবধানে কাজ করতে হতো।
বক্তারা বলেন, স্যাটায়ার, মিম, কার্টুন বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে দীর্ঘদিন ধরে মতপ্রকাশের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বিগত সরকারের আমলেও যখন নানা বাধার কারণে মূলধারার বেশিরভাগ গণমাধ্যম নীরব ছিল। তখনও ঝুঁকি নিয়ে সরকারের সমালোচনা করে গেছে মিম, স্যাটায়ার ও কার্টুন পেজগুলো। জুলাই গণ অভ্যুত্থানের সময়েও আমরা দেখেছি, আন্দোলনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হয়ে উঠেছিল মিম, কার্টুন ও স্যাটায়ার। মিম, কার্টুন, গ্রাফিতি আর স্যাটায়ারে ভরে উঠেছিল শহরের দেয়াল। জুলাইয়ের পরও থেমে থাকেনি স্যাটায়ার। ক্ষমতাবানদের নিয়মিত প্রশ্ন করে গেছেন স্যাটায়ারিস্ট, মিমার, কার্টুনিস্টরা, তাদের নিজস্ব ‘হাতিয়ারের’ মাধ্যমেই।
তারা আরও বলেন, গত ২ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি সাদিক কায়েম বাদী হয়ে বেশকিছু মিম, স্যাটায়ার ও কার্টুন পেজের নামে মামলা দায়ের করেছেন। মিম পেজগুলোর নামে এই মামলা মতপ্রকাশ ও বাক-স্বাধীনতাকে নতুন এক হুমকির সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। কার্টুন, মিম ও স্যাটায়ারের ওপর এই হয়রানিমূলক মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা হোক। কনটেন্ট নির্মাতা শিক্ষার্থী, পেশাজীবীদের আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করা হোক। একইসঙ্গে রাষ্ট্রের কাছে সবাই আহ্বান জানান, বাক-স্বাধীনতা রক্ষায় রাষ্ট্রের বলিষ্ঠ পদক্ষেপ আমরা সবসময়ের জন্য দেখতে চাই।
ওএফএ/এমএন