অধূমপায়ীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পরিবেশ অধিদপ্তর শতভাগ ধূমপানমুক্ত ঘোষণা

অধূমপায়ীদের পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে সুরক্ষা দিতে পরিবেশ অধিদপ্তর ও এর অধীনস্থ সব কার্যালয়কে শতভাগ ধূমপানমুক্ত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এখন থেকে তামাক নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত জাতীয় নির্দেশিকা অনুসরণ করে অধিদপ্তরের সকল কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর কার্যালয়ে ঢাকা আহছানিয়া মিশন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত পরিবেশ অধিদপ্তরের সকল কার্যালয়কে শতভাগ ধূমপানমুক্ত ঘোষণা শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান।
তিনি বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আগত অতিথিদের পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতেই আমরা প্রতিষ্ঠানটিকে শতভাগ ধূমপানমুক্ত হিসেবে ঘোষণা করেছি।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা আহছানিয়া মিশনের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের সমন্বয়কারী মো. শরিফুল ইসলাম। তিনি জানান, তামাকের ধোঁয়ায় প্রায় ৭ হাজার রাসায়নিক পদার্থ থাকে, যার মধ্যে অন্তত ২৫০টি মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এবং প্রাণঘাতী রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। বাংলাদেশে প্রতিবছর তামাকজনিত কারণে ১ লাখ ৩০ হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়। এছাড়া আচ্ছাদিত কর্মক্ষেত্রে ৪২.৭ শতাংশ এবং সরকারি অফিসে ২১.৬ শতাংশ অধূমপায়ী পরোক্ষ ধূমপানের ঝুঁকিতে রয়েছেন।
তিনি বলেন, ধূমপান পরিবেশের জন্যও গুরুতর হুমকি। প্রতিবছর বিড়ি-সিগারেটের বর্জ্য হিসেবে প্রায় ৪০ হাজার ৪৯০ টন বাট ও প্যাকেট পরিবেশ দূষণে ভূমিকা রাখে। শুধু ২০২৪ সালেই বিড়ি-সিগারেটের আগুন থেকে ৪ হাজার ১৩৯টি অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক পারভেজ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও খাদিজাতুল কুবরার সঞ্চালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা আহছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের উপপরিচালক মোখলেছুর রহমান, আহছানিয়া মিশন ইয়ুথ ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিয়িং–এর সমন্বয়কারী মারজানা মুনতাহা প্রমুখ।
ওএফএ/এমএসএ