ওসমান হাদিকে নিয়ে সিইসির বক্তব্যের ভুল বোঝাবুঝি অবসানের চেষ্টা ইসির

জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে গুলিবিদ্ধ হওয়া শরীফ ওসমান হাদীর বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের দেওয়া বক্তব্য নিয়ে গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় সৃষ্ট ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটাতে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীতে আন্তর্জাতিক সংস্থার একটি অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন শরীফ ওসমান হাদীর গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়ে কিছু মন্তব্য করেন। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় তার বক্তব্যের একটি অংশকে উদ্ধৃত করে প্রচারিত তথ্যের বিষয়টি ইসির নজরে আসে।
সকালে ওসমান হাদীর প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, আইনশৃঙ্খলা অবনতি হলো কোথায়? মাঝেমধ্যে দু-একটা খুন খারাপি হয়। এই যে হাদীর একটা ঘটনা হয়েছে, আমরা এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মনে করি।
এ সময় তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে অতীতেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আহসানউল্লাহ মাস্টার এবং সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়ার প্রসঙ্গ টেনে সিইসি বলেন, এ ধরনের ঘটনা তো সবসময় ছিল। আগে আহসানউল্লাহ মাস্টারের সঙ্গেও এরকম হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা হয় বাংলাদেশে, এটা নতুন কিছু না।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে এ প্রসঙ্গে ইসির পরিচালক (জনসংযোগ) মো. রুহুল আমিন মল্লিক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কমিশনের অবস্থান স্পষ্ট করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে ইসি জানায়, ওসমান হাদীর বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে গতকাল ১৪ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে কমিশন জরুরি সভা করে। সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার দ্রুততম সময়ের মধ্যে হামলাকারীকে আইনের আওতায় এনে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে শরীফ ওসমান হাদীর গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় নির্বাচন কমিশন গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করার পাশাপাশি ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কঠোর নির্দেশনা দেয়।
বিজ্ঞপ্তিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা দূর করে কমিশন জানায়, প্রধান নির্বাচন কমিশনার মূলত তার বক্তব্যে বোঝাতে চেয়েছেন যে, ওসমান হাদীর ওপর সন্ত্রাসী হামলা আসন্ন নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না। নির্বাচন কমিশন শরীফ ওসমান হাদীর দ্রুত সুস্থতা কামনা করছে এবং তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে।
এসআর/এমজে