‘ডামি’ নির্বাচনের প্রার্থীরা যেন ভোটে লড়তে না পারে, ইসিকে লিগ্যাল নোটিশ

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গত ৭ জানুয়ারির (দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন) অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের অযোগ্য ঘোষণার দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। একইসঙ্গে এই দাবি আদায়ে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) একটি লিগ্যাল নোটিশও পাঠিয়েছে সংগঠনটি।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানায় সংগঠনটি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলেন, ২০২৪ সালের বিতর্কিত নির্বাচনে যারা অংশ নিয়েছিলেন, তারা প্রকারান্তরে ফ্যাসিবাদকে সহযোগিতা করেছেন।
সংগঠনের সভাপতি রিফাত রশীদ বলেন, গত ২০২৪ সালের ‘ডামি’ নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছিলেন তারা যেন আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন, সেজন্য আমরা লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছি। ওই নির্বাচনে যারা ছিলেন তারা জনমতের তোয়াক্কা করেননি।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, জুলাই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীরা বর্তমানে জীবন সংকটে আছেন। পলাতকরা বিদেশের মাটিতে বসে হত্যার নীলনকশা করছে। এর জবাবে ছাত্র আন্দোলন কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে।
আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোনো ধরনের সমঝোতার চেষ্টার সমালোচনা করে রিফাত রশীদ বলেন, আওয়ামী লীগের ভোট নেই বলেই তারা ভোট চুরি করেছিল। অথচ এখন অনেক রাজনৈতিক দল তাদের (আওয়ামী লীগ) ভোটের জন্য সেজদা দিতে অস্থির হয়ে উঠেছে। পলাতক ফ্যাসিস্টের ষড়যন্ত্রের জবাবে ছাত্র আন্দোলন হার্ডলাইনে যাবে।
সংগঠনের মুখ্য সমন্বয়ক হাসিব আল ইমরান বলেন, গত ২০২৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বাইরেও অনেকে এমপি হয়েছেন। তারা জুলাই আন্দোলনের সময় গণহত্যাকে সমর্থন করেছেন। কাজেই ওই ডামি নির্বাচনে যারাই প্রার্থী হয়েছিলেন, তাদের যেন ২৬ সালের নির্বাচনে কোনো সুযোগ দেওয়া না হয়।
এসআর/এমএসএ