সমাধিস্থলের বাইরে অপেক্ষা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধি চত্ত্বরে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ দাফন করার প্রস্তুতি চলছে। হাদির শেষ বিদায়ের সাক্ষী হতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ছাত্র-জনতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে সমাধিস্থলের বাইরে অপেক্ষা করছেন। বেলা যত বাড়ছে, ছাত্র-জনতার উপস্থিতি তত বাড়ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সমাধিস্থলের বাইরে অপেক্ষমান ছাত্র-জনতা মুঠোফোনে ছবি, ভিডিও ও সেলফি তুলে সময় পার করছেন। কেউ কেউ হাদির প্রসঙ্গে কথা বলছেন, খন্ড খন্ড জটলায় চলছে এসব আলোচনা।
কুমিল্লা থেকে হাদির শেষ বিদায়ে অংশ নিতে এসেছেন মুহাম্মদ মুরাদ। তিনি বলেন, ভোরে বাড়ি থেকে রওনা হয়ে এখানে এসেছি। হাদি ভাইকে তো আর ফিরে পাব না, অন্তত তার শেষ বিদায় সাক্ষী হতে এসেছি।
ইয়াকুব ভূঁইয়া নামে আরেকজন বলেন, সকালে এসেছি। জানাজা পড়তে যাওয়ার ইচ্ছে ছিল, কিন্তু ওখানে গেলে কবর দেওয়াটা মিস করতাম। সেজন্য এখানে অপক্ষো করছি। ঘুরলাম, ছবি তুললাম।
আজ দুপুর ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ওসমান হাদির নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের কাছে হাদির মরদেহ দাফন করা হবে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে হাদি মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। এরপর সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকায় চিকিৎসা দিয়ে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়েছিল।
সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মারা যান। গতকাল সন্ধ্যায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সিঙ্গাপুর থেকে ওসমান হাদির মরদেহ দেশে আনা হয়।
উল্লেখ্য, ঢাকা-৮ আসনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন ওসমান হাদি।
এনআই/এনএফ