এ কে খন্দকারের মৃত্যুতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার শোক

বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বীর উত্তম খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিবাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বিমান বাহিনী প্রধান এবং সাবেক মন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আবদুল করিম খন্দকারের (এ কে খন্দকার) মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক শোকবার্তায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে এ কে খন্দকারের অসামান্য নেতৃত্ব, সাহস ও কৌশলগত ভূমিকা বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে অনন্য অবদান রেখেছে। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রথম প্রধান হিসেবে যুদ্ধবিধ্বস্ত বিমান বাহিনী পুনর্গঠনে তার দূরদর্শী নেতৃত্ব দেশ গঠনের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের ঐতিহাসিক মুহূর্তে মুক্তিবাহিনীর প্রতিনিধি হিসেবে এ কে খন্দকারের উপস্থিতি জাতির ইতিহাসে এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় হয়ে আছে।
শোকবার্তায় মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, এ কে খন্দকার শুধু একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সামরিক কর্মকর্তা ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন প্রজ্ঞাবান দেশপ্রেমিক ও ইতিহাস-সচেতন দলিলকার। পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তার মৃত্যুতে জাতি এক চৌকস সামরিক কর্মকর্তা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠককে হারাল। শোকবার্তায় তিনি মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজন ও স্বজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এ কে খন্দকার শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। মুক্তিবাহিনীর উপ প্রধান (ডেপুটি চিফ অব স্টাফ) এ কে খন্দকার বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রথম প্রধান ছিলেন। সাবেক এই এয়ার ভাইস মার্শাল পরে রাজনীতিতে যোগ দিয়ে দুই দফায় মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
এনআই/এমএন