মাস্ক ছাড়া ট্রেনে উঠতে দেওয়া হবে না

স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৫০ শতাংশ আসন খালি রেখে বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) থেকে ট্রেন চলাচল করবে। মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যা থেকে অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু হবে। তবে ট্রেনে কোনো রুটেই ভাড়া বাড়ানো হয়নি। এবার মাস্ক পরিধান ছাড়া কাউকেই রেলস্টেশনে ঢুকতে দেওয়া হবে না। বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনের ব্যবস্থাপক মাসুদ সারোয়ার ঢাকা পোস্টকে বলেন, কমলাপুর রেলস্টেশনে মাস্ক পরিধানে আরও কঠোর অবস্থানে যাচ্ছি আমরা। জীবাণুনাশক ব্যবহার ও তাপমাত্রা পরীক্ষার ব্যবস্থাও জোরদার করা হচ্ছে। কাউন্টারে টিকিট বিক্রি করা হবে না।
রেলপুলিশসহ আমাদের সকল সংস্থার জনবল পুরোপুরি ও নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজে লাগানো হবে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ট্রেনের টিকিট শুধু অনলাইনেই বিক্রি হবে। নন কম্পিউটারাইজড স্টেশনের টিকিট ওই স্টেশন কাউন্টার থেকে কেনা যাবে। অনলাইনে ক্রয় করা টিকিট ফেরত দেওয়া যাবে না। কমিউটার ট্রেনের টিকিট যথারীতি নির্দিষ্ট বক্স কাউন্টার থেকে দেওয়া হবে। আসনবিহীন টিকিট বিক্রি করা হবে না।
টিকিটবিহীন কোনো যাত্রী স্টেশনে প্রবেশ বা ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন না। ট্রেনে প্রতিনিয়ত বিশেষ চেকিং অভিযান চালানো হবে। বিনা টিকিটে ট্রেন ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকার জন্য রেলওয়ের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে। ট্রেনে প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য ভিন্ন ভিন্ন দরজা ব্যবহার করতে হবে।
বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ট্রেনে ভ্রমণ না করার অনুরোধও করেছে রেলওেয়ে। ট্রেনে চড়তে হলে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে। মাস্ক ব্যতীত কোনো যাত্রীকে স্টেশনে প্রবেশ বা ট্রেনে ভ্রমণ করতে দেওয়া হবে না।
উল্লেখ্য, দেশের আর্থ সামাজিক অবস্থা এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে আগামী ১৪ জুলাই (বুধবার) মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই (শুক্রবার) সকাল ৬টা পর্যন্ত আরোপিত সব বিধিনিষেধ শিথিল করেছে সরকার।
তবে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। মঙ্গলবার দুপুরে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ঈদ উদযাপন, জনসাধারণের যাতায়াত, ঈদ পূর্ববর্তী ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা, দেশের আর্থ সামাজিক অবস্থা এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পিএসডি/ওএফ