এ মাসেই ভ্যাকসিন আসবে : মন্ত্রিপরিষদ সচিব

চলতি (জানুয়ারি) মাসের মধ্যেই দেশে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আসবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
সোমবার (১১ জানুয়ারি) মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের বরাত দিয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
এর আগে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।
করোনার ভ্যাকসিন বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘এটা (ভ্যাকসিন) নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি (প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব) এটা কো-অর্ডিনেট করছেন। আজকে হয়তো ওনারা সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবেন।’
ভ্যাকসিন কবে আসবে- জবাবে তিনি বলেন, ‘এ মাসের মধ্যেই চলে আসবে, এটা আজকে মিটিংয়ে বলা হয়েছে। কিন্তু যেহেতু জিনিসটা ফাইনাল হয়নি... উনি বলেছেন যে, আশা করছি এ মাসের শেষের দিকেই চলে আসবে।’
অন্যান্য সোর্স থেকে আনার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কি না- সচিব বলেন, ‘আমিতো বললাম, ভ্যাকসিনের বিষয়ে প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি কো অর্ডিনেট করছেন, উনি জানিয়ে দেবেন। ওনারা গতকালকে মিটিং করে ফেলেছেন। আমি মিটিংটাতে ছিলাম না। উনি শুধু বলেছেন, আমরা গতকালকে মিটিং করে ফেলেছি, আশা করছি এ মাসের শেষেই পাওয়া যাবে।’
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের টিকার আপডেট জানাতে ব্রিফিং করবেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ বি এম খুরশিদ আলম। সোমবার (১১ জানুয়ারি) বিকেল ৪টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এ ব্রিফিং শুরু হবে।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা এম আই প্রধান জানান, ভ্যাকসিন ইস্যু নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ বি এম খুরশিদ আলম ব্রিফিং করবেন। ব্রিফিংয়ে ভ্যাকসিনের আপডেটসহ দেশের সার্বিক প্রস্তুতির বাস্তব চিত্র তুলে ধরা হবে।
এদিকে, রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেয়া তথ্যমতে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও ২৫ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল সাত হাজার ৭৮১ জনে।
একই সময়ে নতুন করে এক হাজার ৭১ জনের শরীরে প্রাণঘাতী এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মাধ্যমে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে পাঁচ লাখ ২২ হাজার ৪৫৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ১৮১ ল্যাবে ১২ হাজার ৯৭৯টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ৯২০ নমুনা। এ পর্যন্ত মোট পরীক্ষা হয়েছে ৩৩ লাখ ৫৭ হাজার ৩১৯টি নমুনা।
এসএইচআর/এফআর