জেলের ভয়ে দৌড়ে গেলেন জরিমানা দিতে

রাজধানীর বংশাল থানাধীন নয়াবাজার এলাকার বাসিন্দা মো. সাইফুল ইসলাম (৪০)। বিধিনিষেধের মধ্যেই রোববার (২৫ জুলাই) সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গিয়েছেন ফোন আনতে। তার ছোট ভাই সিঙ্গাপুর থেকে প্রবাসী আরেক ব্যক্তির কাছে ফোনটি পাঠিয়েছেন।
ফোন নিয়ে ভ্যানে করে নয়াবাজার ফেরার সময় রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে র্যাবের অভিযানে সাইফুল ইসলামকে আটকানো হয়। অভিযানে থাকা র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু বিধিনিষেধের মধ্যে সাইফুলের বাইরে বের হওয়ার কারণ জানতে চান।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের প্রশ্নের জবাবে সাইফুল ইসলাম বলেন, ছোট ভাই আমার জন্য সিঙ্গাপুর থেকে একটা মোবাইল ফোন পাঠিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এক প্রবাসীর কাছে। সেই ব্যক্তি আজ ফোন নিয়ে সিঙ্গাপুর থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া চলে যাবেন বলে আমি ফোনটি নিতে বিমানবন্দরে গিয়েছি।
ম্যাজিস্ট্রেট প্রশ্ন করেন, চলমান এই কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে আপনি যে কাজটি করতে বের হয়েছেন এটি কি জরুরি কোনো কাজ?
সাইফুল বলেন, জরুরি না হলেও মোবাইলটি আনা আমার খুব প্রয়োজন ছিল। সাইফুল ইসলামের এমন যুক্তি শুনে সন্তুষ্ট হতে পারেননি র্যাবের ম্যাজিস্ট্রেট। পরে তিনি বিধিনিষেধের নিয়ম অমান্য করায় সাইফুল ইসলামকে ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড করেন।

রোববার (২৫ জুলাই) দুপুরে শাহবাগ মোড়ে বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে র্যাব-৩ এর অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালতে এ ঘটনা ঘটে।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের পরিচালনায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের রায় না মেনে আরেক কাণ্ড ঘটান সাইফুল ইসলাম। তিনি র্যাবের কর্মকর্তাদের সাফ জানিয়ে দেন ৫০০ টাকা দিতে পারবেন না। তিনি বলেন, আমি ঢাকার লোক, ঢাকা শহরে বের হতে পারব না? সব মানুষ বের হয়েছে। মোবাইল আনাটা আমার জন্য জরুরি প্রয়োজন।
তখন সাইফুল ইসলামকে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানিয়ে দেন, জরিমানা না দিতে চাইলে একদিনের জন্য তাকে জেলে যেতে হবে।
জেলে যাওয়ার কথা শুনে দৌড়ে এসে র্যাবের কর্মকর্তাদের কাছে আদালতের রায় অনুযায়ী ৫০০ টাকা জরিমানা দিয়ে বাসায় ফেরেন সাইফুল ইসলাম।
এদিকে, শাহবাগ মোড়ে এখনও র্যাবের অভিযান চলমান রয়েছে। র্যাব-৩ এর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, শাহবাগে চলমান অভিযানে বিধিনিষেধের আইন অমান্য করায় ৮ জনকে জরিমানা করা হয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে।
এমএসি/এইচকে