গণপরিবহনে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারে অনীহা

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর বুধবার (১১ আগস্ট) থেকে দূরপাল্লার সহ সব গণপরিবহন খুলে দিয়েছে সরকার। আগে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গাড়ি চালানোর শর্ত থাকলেও এবার শতভাগ যাত্রী নিয়েই চলতে পারছে পরিবহন। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে জোর দিয়েছে সরকার। কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন। যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের কেউ কেউ মাস্ক পরেছেন। তবে অনীহা দেখা গেল হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারে। বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) রাজধানীর মিরপুর এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
এদিকে বাস মালিক সমিতির নেতারা বলছেন, প্রতিটি বাসেই যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানার পাশাপাশি হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারপরও যদি কেউ এ নিয়ম না মানেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বুধবারের মতো সরেজমিনে রাজধানীর চিরচেনা রূপ দেখা গেছে আজও। সকাল থেকেই বিভিন্ন পয়েন্টে যানজট লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়া বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গণপরিবহনের সংখ্যাও বেড়েছে সড়কে। তবে বাসে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে দেখা যায়নি। এতে যাত্রীদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে।

জানতে চাইলে প্রজাপতি পরিবহনের যাত্রী লিয়াকত ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, সরকার প্রতিটি বাসে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে বলেছে। কিন্তু কোনো বাসেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়া হচ্ছে না। অথচ একই হাতল এবং আসন ব্যবহার করে ধরে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। আসনগুলোতে জীবাণুনাশক স্প্রেও দেওয়া হচ্ছে না। এতে করোনার সংক্রমণ বাড়তে পারে।
ওই পরিবহনের সহকারী কুদ্দুস জানান, গতবছর করোনার সময় যাত্রীদের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়েছিল বাস মালিকরা। এবার হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেয়নি। তাই রাখা হচ্ছে না। রাখতে গেলে সেটা আমাদের নিজেদের পকেটের টাকা দিয়ে কিনতে হবে। সেটা তো আমরা করব না।
দিশারী পরিবহনের যাত্রী সাইফুল ইসলাম বলেন, বাসে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দেওয়া হচ্ছে না। অথচ আগের নিয়ম তুলে দিয়ে এখন শতভাগ যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। আগে অর্ধেক সিট খালি রেখেও হ্যান্ড স্যানিটাইজ এবং স্প্রে করা হতো। কিন্তু এবার সম্পূর্ণ চিত্র ভিন্ন। শতভাগ যাত্রী পরিবহন হলেও হ্যান্ড স্যানিটাইজ ও স্প্রে করা হচ্ছে না।

এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, আমাদের মালিক সমিতির পক্ষ থেকে প্রতিটি বাসেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখার জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু আপনারা অনেকেই বলছেন হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা হচ্ছে না। আমরা এ বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি। যদি কেউ সরকারের দেওয়া নির্দেশনা না মানে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসআর/এসএসএইচ