জাপানে জাতীয় শোক দিবস পালন

জাপানের রাজধানী টোকিওতে গভীর শ্রদ্ধা আর যথাযথ মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস।
রোববার (১৫ আগস্ট) টোকিও বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মাধ্যমে শোক দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের সঙ্গে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।
দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। এ সময় বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
দূতাবাস জানায়, করোনা মহামারিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠানের বাকি অংশে অনুষ্ঠিত হয়। অনলাইন আলোচনার শুরুতে বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের শহীদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাত্রিতে নিহত বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, আধুনিক ক্রীড়া ও সংস্কৃতি অঙ্গনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ পুত্র ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল, শেখ রাসেলসহ শহীদদের। তিনি তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশি-বিদেশি অপশক্তি ও একাত্তরের পরাজিত শক্তি, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি এবং যারা বঙ্গবন্ধুকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছিল, তারাই ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাকে হত্যা করেছিল। বাংলাদেশের উন্নয়নে সর্বদা পাশে থাকায় প্রতিমন্ত্রী জাপান সরকার ও জনগণকে ধন্যবাদ জানান।
রাষ্ট্রদূত আহমদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলেন বাঙালি জাতির মুক্তির স্বপ্নদ্রষ্টা। তিনিই বাঙালি জাতিকে এনে দিয়েছেন স্বাধীনতা ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, আজ বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু তার স্বপ্ন, আদর্শ ও নির্দেশনা আজও আমাদের সঠিক পথ দেখায়। আর তার দেখানো পথ ধরেই তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির পথে এগিয়ে চলেছেন।
প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ‘রূপকল্প-২০২১’ এবং ‘রূপকল্প-২০৪১’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে তার গতিশীল নেতৃত্বে আমরা বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্র তথা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলব, যোগ করেন রাষ্ট্রদূত।
এনআই/এসএসএইচ