বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের দেশে এনে বিচার করা হবে
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বাংলার মাটিতে শুরু হয়েছে। এখনো যে হত্যাকারীরা দেশের বাইরে পালিয়ে আছেন, দ্রুত তাদের দেশে ফিরিয়ে আইনের আওতায় আনা হবে।
রোববার ঢাকায় খাদ্যভবন অডিটোরিয়ামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২১ উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির অনুপ্রেরণার বাতিঘর। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার কাজে নিবেদিত হওয়া তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের সর্বোত্তম উপায়। তার জন্ম না হলে বাঙালি স্বাধীন দেশ পেত না।
তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট প্রেক্ষাপট ছিল ভিন্ন। শেখ মুজিবকে সপরিবারে হত্যার পর প্রতিবাদ করা যায়নি। আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা ঘরে থাকতে পারেননি। শুধু তাই নয়, পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে টেলিভিশন কিংবা বেতারে বঙ্গবন্ধুর নাম পর্যন্ত প্রচার হতো না। ইনডেমিনিটি বিলের মাধ্যমে বিচারের পথ রুদ্ধ করা হয়েছিল।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, হত্যাকাণ্ডের মূল চক্রান্তকারী ছিলেন জিয়া। তার নেতৃত্বেই ১৫ আগস্টের এ হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত হয়েছিল। চক্রান্তকারীরা ভেবেছিল, হত্যা করলে ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলা যাবে। তাদের সে চক্রান্ত মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। ইতিহাসের সত্যকে মুছে ফেলা যায়নি, জীবিত মুজিব থেকে মৃত মুজিব হয়েছেন আরও শক্তিশালী।
খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক শেখ মুজিবর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম। এছাড়া, মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (এফপিএমইউ) মো. শহীদুজ্জামান ফারুকী, অতিরিক্ত সচিব খাজা আব্দুল হান্নান, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য রেজাউল করিম, খাদ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বক্তব্য রাখেন।
এসএইচআর/আরএইচ
