সিগন্যালে গাড়ির চাপ, যানজট ভোগাচ্ছে রাজধানীবাসীকে

গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর সিগন্যালের আশপাশের সড়কে গাড়ির তীব্র চাপ থাকায় যানজটের ভোগান্তিতে পড়েছেন রাজধানীবাসী। সড়কের একপাশের যানজটের কারণে দীর্ঘায়িত হচ্ছে গাড়ির সারি। তাতে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে রাজধানীবাসীর ভোগান্তি যেন অন্যদিনের চেয়ে বেশি।
বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই তীব্র যানজটের চিত্র দেখা যায় মিরপুর রোডে। সরেজমিন রাজধানীর নীলক্ষেত মোড়, নিউমার্কেট, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, কলাবাগান, রাসেল স্কয়ার মোড় ঘুরে দেখা যায় মূল সড়কের পাশাপাশি সংযোগ সড়কগুলোতেও গাড়ির দীর্ঘ লাইন।
সড়কগুলোর মধ্যে বেশি যানজট তৈরি হয়েছে আজিমপুর থেকে সায়েন্স ল্যাবরেটরি পর্যন্ত। একদিকে মোহাম্মদপুর থেকে আসা শাহবাগ-মতিঝিলগামী গাড়ি সড়ক পরিবর্তন করে এলিফ্যান্ট রোডে ওঠার অপেক্ষা; অপরদিকে মোহাম্মদপুর, সাভারগামী গাড়ি এলিফ্যান্ট রোড থেকে মিরপুর রোডে ওঠার অপেক্ষা। আর মূল সড়কে নীলক্ষেত থেকে সায়েন্স ল্যাবরেটরি ও সায়েন্স ল্যাবরেটরি থেকে নীলক্ষেতগামী বাস তো রয়েছেই। এছাড়া সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড় পার হওয়ার পর নতুন করে পড়তে হচ্ছে নীলক্ষেত মোড়ের যানজটে। সেখানেও চতুর্মুখী সড়ক হওয়ায় কিছু সময় পরপর এক সড়ক বন্ধ করে অপর সড়ক যান চলাচলের জন্য খুলে দিতে হচ্ছে। যার ফলে বাসে থাকা সাধারণ মানুষকে গন্তব্যে পোঁছাতে পড়তে হচ্ছে চরম ভোগান্তিতে।

অন্যদিকে বাড়তি ভোগান্তি তৈরি করছে সড়কের দুই পাশে থাকা রিকশা ও ব্যক্তিগত ছোটগাড়ি। সায়েন্স ল্যাবরেটরি থেকে নিউমার্কেট পর্যন্ত মূল সড়কের পার্শ্ববর্তী সড়কে তৈরি হয়েছে প্রচণ্ড রিকশাজট। সিটি কলেজ, আড়ং সংলগ্ন সড়কজুড়েই রিকশার দীর্ঘলাইন দেখা যায়।
এমন অবস্থায় তীব্র যানজটে নাকাল মানুষজন বললেন ভোগান্তির কথা। আব্দুল হামিদ নামের এক বাস যাত্রী বলেন, নীলক্ষেত মোড় থেকে সায়েন্স ল্যাবরেটরি পর্যন্ত পাঁচ মিনিটেরও কম দূরত্বের পথ অতিক্রম করতে সময় লাগছে ত্রিশ মিনিট। প্রচণ্ড গরমে এই যানজট আরও অসহনীয় হয়ে পড়েছে।
প্রায়ই এই অংশে প্রচণ্ড যানজটের মুখোমুখি হতে হয় জানিয়ে তিনি আরও বললেন, অধিকাংশ সময়ই আজিমপুর মোড় থেকে যানজট শুরু হয়। যা একেবারে আসাদগেট পর্যন্ত থেমে থেমে ভোগান্তি বাড়ায়। এই রুটে চলাচল করাটাই এখন কষ্টসাধ্য।

ইয়াসমিন সুলতানা নামের আরেক যাত্রী বলেন, অন্যান্য দিনের তুলনায় সপ্তাহের শেষ দিন হওয়ায় গাড়ির চাপ বেশি, তাই যানজটও বেশি। অনেকক্ষণ ধরে এক জায়গায় বসে আছি। কতক্ষণে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারব তা বলতে পারছি না।
যানজটের পেছনে অতিরিক্ত ব্যক্তিগত গাড়ি এবং রিকশার অনিয়ন্ত্রিত চলাচলকে দায়ী বলে মনে করছেন অনেকে। সিদ্দিকুর রহমান নামের এক যাত্রী বলেন, দিনদিন সড়কে গাড়ির সংখ্যা বাড়ছে। এতে যানজটও বাড়ছে। এছাড়া সড়কে যানজট তৈরি হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে রিকশার অনিয়ন্ত্রিত চলাচল। রিকশা চালকরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই মূল সড়কে চলে আসায় গাড়ি চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে এবং যানজটের তৈরি হচ্ছে।
আরএইচটি/জেডএস