জাতীয় ক্রিকেট দলে খেলবে পুলিশ সদস্যরাও: আইজিপি

আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে জাতীয় ক্রিকেট দলে বাংলাদেশ পুলিশ সদস্যরা খেলবে বলে আশাবাদ জানিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।

তিনি বলেন, দুই লাখ বারো হাজারের সদস্যের বড় বাহিনী পুলিশ। আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে জাতীয় ক্রিকেট দলে খেলতে চায় পুলিশ। পুলিশের দুই-একজন সদস্য যাতে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে জাতীয় দলে খেলতে পারেন সেজন্য সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

শনিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে উত্তরায় আর্মড পুলিশ বাংলাদেশ (এপিবিএন) মাঠে 'পুলিশ ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২০ আইজিপি কাপ' পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

আইজিপি কাপে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে (ডিএমপি) ২০ রানে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন। এই টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী মাইনুল ইসলাম। ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্ট হয়েছেন আ. সালাম সোহাগ।

আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম এখন পরাশক্তি। দুই একজন ক্রিকেটার যদি পুলিশ বাহিনী থেকে খেলতে পারেন তাহলে বাংলাদেশ টিমে তারা ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করতে পারবেন। 

তিনি বলেন, একজন ভালো পুলিশ সদস্য হওয়ার আগে তাকে একজন ভালো মানুষ হতে হবে। ভালো মানুষ হওয়ার জন্য ভালো যতগুলো গুণাবলি আছে সেগুলো অর্জন করতে হবে। তাহলেই আমরা ভালো পুলিশ সদস্য হতে পারব। এই ভালো গুণাবলিগুলো চর্চার সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো আমাদের আচরণে এবং কর্তব্যে প্রতিফলন ঘটাতে হবে। 

আইজিপি আরও বলেন, খেলাধুলা পুলিশের প্রশিক্ষণের যেমন একটি অংশ তেমনই সার্ভিস কালচারেরও একটি অংশ। আমাদের বিভিন্ন ইউনিটে প্রতিদিন খেলা হয়। এটি পুলিশের শরীর গঠন ও শৃঙ্খলারও একটি বিষয়।

পুলিশের প্রতিটি কমান্ড প্রধানদের অনুরোধ জানিয়ে আইজিপি বলেন, শুধু যে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য খেলতে হবে তা নয়। বিকেলের খেলাধুলা নিয়মিত চালু রাখতে হবে। প্রতি বছর হাজার হাজার সদস্য পুলিশে যুক্ত হন। তাদেরকে নিয়ে একটি ভালো মানের টিম গঠন করুন। এছাড়াও কনস্টেবল ও সার্জেন্ট নিয়ে একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে নির্দেশনা দেন আইজিপি। 

আইজিপি কাপ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পুলিশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি মো. মাহবুবুর রহমান। 

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো. মোশারফ হোসেন, উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. শহীদুল্লাহ প্রমুখ।

জেইউ/এইচকে