আশুলিয়ায় বাবাকে খুনের দায়ে ছেলে গ্রেফতার

ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন শিমুলিয়ায় মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের হাতে বাবা খুনের মামলায় মোহাম্মদ আফাজ উদ্দিন (২৮) নামের সন্তানকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪।
বুধবার (২০ অক্টোবর) র্যাব-৪ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র এএসপি সাজেদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মঙ্গলবার রাতে ঢাকার আশুলিয়া থানাধীন শিমুলিয়া এলাকায় নুর মোহাম্মদকে (৬৮) বটি দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেন তার ছেলে মোহাম্মদ আফাজ উদ্দিন। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। পরে র্যাব ছায়া তদন্ত শুরু করে ও জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
তিনি আরো জানান, হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই পলাতক ছিলেন আফাজ উদ্দিন। তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা না পড়ার জন্য বারবার তার স্থান পরিবর্তন করে বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপন করেন।

সিনিয়র এএসপি সাজেদুল ইসলাম আরও জানান, র্যাবের ধারাবাহিক গোয়েন্দা নজরদারির কারণে মোহাম্মদ আফাজ উদ্দিনকে আশুলিয়া থানাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বুধবার (২০ অক্টোবর) ভোরে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার হেফাজত থেকে একটি রক্তমাখা বটি, একটি রক্তমাখা বিছানার চাদর ও একটি রক্তমাখা লুঙ্গি জব্দ করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোহাম্মদ আফাজ উদ্দিন হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে র্যাবকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। গ্রেফতারের বিষয়ে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র এএসপি সাজেদুল ইসলাম।
এদিকে আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কাওসার হামিদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আফাজ উদ্দিন মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় ২০০৬ সাল থেকে তার চিকিৎসা করছিল পরিবার। সেই ছেলের হাতেই বাবা খুন হন।
পুলিশ জানায়, ঘাতক আফাজ উদ্দিন মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। ২০০৬ সাল থেকে পরিবার তার চিকিৎসা করে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। আফাজ মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় তার স্ত্রী রাতে পাশে ঘুমাত না। তাই বাবা নুর মোহাম্মদ তার পাশে থাকতেন।
প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার রাতেও নুর মোহাম্মদ ছেলে আফাজের কক্ষে বাড়ির দ্বিতীয়তলায় ঘুমাতে যান। কিন্তু ভোররাতে আফাজ বটি দিয়ে বাবার গলার পেছনে আঘাত করেন। এ সময় গোঙানির শব্দ শুনতে পান পরিবারের অন্য সদস্যরা।
পরে তারা আফাজের ঘরে গেলে নুর মোহাম্মদের রক্তাক্ত দেহ দেখতে পান। তবে এর আগেই আফাজ ঘর থেকে বেরিয়ে যান। পরে নুর মোহাম্মদের মরদেহ সাভারের এনাম মেডিকেলে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এমএসি/এইচকে