শ্যামবাজারে ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান হত্যা, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

রাজধানীর শ্যামবাজারে ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান (৫৫) হত্যা মামলায় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রসহ প্রধান আসামি নয়নকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও গোয়েন্দা কার্যক্রমের ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে নয়নকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১০ এর একটি দল।
র্যাব-১০ সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তার নয়নও একজন ব্যবসায়ী। ব্যবসায়িক পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নয়ন নিজে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারে শ্যামবাজারে ব্যবসায়ী আব্দুর রহমানকে গুলি করে হত্যা করে।
নিহত আব্দুর রহমানের বাড়ি কুমিল্লার তিতাসে। তিনি সপরিবার পুরান ঢাকার ফরাশগঞ্জে থাকতেন। হলুদ-মরিচের ব্যবসা করা আব্দুর রহমান শ্যামবাজার কাঁচাবাজার মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি ছিলেন।
হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত নয়নকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব-১০ এর সহকারি পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি তাপস কর্মকার জানান, আজ (শুক্রবার) দুপুরে কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে।
শ্যামবাজার মাওলা বক্স চক্ষু হাসপাতালের সামনে দুর্বৃত্তের গুলিতে গতকাল নিহত হন ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান। এ ব্যাপারে সূত্রাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অপূর্ব চন্দ্র দাস জানান, ব্যবসা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে পাশের এক দোকানি ও তার লোকেরা অনেক লোকের সামনে আবদুর রহমানকে গুলি করে হত্যা করে।
নিহত আবদুর রহমানের ছোট ভাই শফিকুল ইসলাম বলেন, পাশের দোকানকার নয়নের সঙ্গে তার ভাইয়ের দোকান বসানো নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে ভাইয়ের সঙ্গে অভিযুক্ত দোকানির সালিস বৈঠক হয়। আদালতে এ নিয়ে মামলাও হয়েছে। এর জের ধরেই নয়ন আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে আব্দুর রহমানকে গুলি করে হত্যা করেন। ভয়ে কেউ ভাইকে বাঁচাতে যেতে সাহস পাননি। ঘটনার পর অভিযুক্ত দোকানি পালিয়ে গেছেন।
এর আগে গত ১০ নভেম্বর পুরান ঢাকায় ন্যাশনাল মেডিক্যাল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সামনে সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার আসামি ও শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়।
জেইউ/এনএফ