সার্কাস প্রদর্শন ও প্রণোদনার দাবি মালিকদের

সরকারকে রাজস্ব দেওয়া লাইসেন্সপ্রাপ্ত ২৫টি প্রতিষ্ঠানকে সার্কাস প্রদর্শনের অনুমতিসহ ১০ কোটি টাকা (ফেরতযোগ্য) প্রণোদনা দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সার্কাস মালিক সমিতি। রোববার (৩১ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনী মিলনায়তনে সংগঠনটি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান সমিতিটির সভাপতি বাবু নিরঞ্জন সরকার।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমাদের অতি পুরনো জনপ্রিয় সার্কাস শিল্পটি আজ প্রায় বিপন্ন। স্বাধীনতা-পূর্ব ও উত্তরকালে গঠিত অধিকাংশ সার্কাস আজ আর নেই। অননুমোদিত জটিলতা ও যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে সার্কাস অঙ্গনটি আজ মোটেও সুস্থ-সবল নেই। মরার ওপর খাড়ার ঘা হিসেবে এসেছে করোনা মহামারি। দীর্ঘ ১১ মাস সার্কাস প্রদর্শনী বন্ধ থাকায় এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রায় ২৫ হাজার মালিক-কর্মচারী-শিল্পী এখন বেকার অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। মালিকদের কেউ কেউ এই সংকট থেকে উঠতে সার্কাস সরঞ্জাম হাতবদল, ধার-দেনা করে বেঁচে থাকলেও এর সঙ্গে যুক্ত প্রশিক্ষিত শিল্পী-কুশলীরা দিশেহারা হয়ে অন্য কর্মসংস্থানে চলে যাচ্ছে। যা এই সার্কাস শিল্পের জন্য অশনি সংকেত। সার্কাসে ব্যবহৃত প্রশিক্ষিত হাতি, ঘোড়া, গাধা, কুকুর ও বানর প্রাণীগুলো নিয়ে সার্কাস মালিকরা বেকায়দায় পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী সব ক্ষেত্রে প্রণোদনা দিয়ে দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু বিনোদনের মাধ্যম এই সার্কাসে শিল্পে কোনো ধরনের সহযোগিতা এখন পর্যন্ত আসেনি। ইতোমধ্যে করোনা মহামারির প্রকোপ অনেকটা কমে এসেছে। অফিস-আদালত, ব্যবসা-বাণিজ্য, সিনেমা হল, চিড়িয়াখানা, সমুদ্র সৈকতসহ পর্যটন কেন্দ্র সবই খুলে দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র বন্ধ রয়েছে মেলা ও সার্কাস। আমরা জানতে পেরেছি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ইতোমধ্যে মেলা ও সার্কাস প্রদর্শনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
তিনি দাবি জানিয়ে বলেন, রাজস্ব প্রদানকারী লাইসেন্সপ্রাপ্ত ২৫টি সার্কাস প্রতিষ্ঠানকে বর্তমানে সার্কাস প্রদর্শনের অনুমতি দেওয়া হোক। একই সঙ্গে এই শিল্পকে রক্ষা ও উন্নত প্রযুক্তি সংযোজন করে মানসম্মত প্রদর্শনের জন্য সরকারের কাছে ১০ কোটি টাকা (ফেরতযোগ্য) প্রণোদনা দেওয়ার দাবি করছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- সমিতির সহ-সভাপতি বিরেন দাস, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহিনুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ আফতাব উদ্দিন প্রমুখ।
এইচএন/ওএফ