আমি খুব ভালো পুলি পিঠা তৈরি করতে পারি : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, ভোজনরসিক বাঙালির অনন্য ঐতিহ্য বাহারি পিঠা। পিঠা বাঙালি সংস্কৃতির ধারক ও বাহক। আদিকাল থেকেই অঞ্চল ও ঋতুভেদে নানা রকম পিঠা তৈরি হয়ে আসছে।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে জাতীয় পিঠা উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় জাতীয় পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদ ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি যৌথভাবে দশ দিনব্যাপী এ উৎসবের আয়োজন করেছে।
জাতীয় পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদ ২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এ উৎসব আয়োজন করে আসছে। এয়োদশ জাতীয় পিঠা উৎসব থেকে ঢাকার বাইরে বিভাগীয় পর্যায়ে এ উৎসব আয়োজন শুরু হয়েছে।
আগামীতে প্রতি জেলায় পিঠা উৎসব আয়োজন করা হবে। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ উৎসবের প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা দেবে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
নিজের পিঠা তৈরির অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে প্রধান অতিথি বলেন, আমি খুব ভালো পুলি পিঠা তৈরি করতে পারি। শৈশব থেকেই আমরা গ্রামবাংলার হরেক রকম সুস্বাদু পিঠা-পুলি খেয়ে বড় হয়েছি, যা থেকে নতুন প্রজন্ম বিশেষ করে শহরের বাসিন্দারা অনেকখানি বঞ্চিত। সেজন্য সারাদেশে এ উৎসব ছড়িয়ে দেওয়া একান্ত প্রয়োজন। তাহলে তরুণ প্রজন্ম ক্ষতিকর ফাস্টফুড সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আমাদের আদি ঐতিহ্য পিঠাপুলিতে অভ্যস্ত হবে।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাধীনতা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত নাট্যজন মঞ্চসারথি আতাউর রহমান, একুশে ও শিল্পকলা পদকপ্রাপ্ত নৃত্যগুরু আমানুল হক, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল নাট্যজন কামাল বায়েজিদ ও সিটি গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক (বিক্রয় ও বিপণন) জাফর উদ্দিন সিদ্দিকী।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার শাহ আলম। বক্তব্য রাখেন পঞ্চদশ জাতীয় পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদ-১৪২৮ এর যুগ্ম-আহবায়ক ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব মো. আসাদুজ্জামান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ড. মো. শাহাদাৎ হোসেন।
পিএসডি/আরএইচ