পল্টন থানা ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি হকারদের

আগামী ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হকারদের ৫ দফা দাবি মেনে নেওয়া না হলে ৮ ফেব্রুয়ারি পল্টন ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়ন। বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) পল্টনের মুক্তিভবনের মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
হকারদের দাবিগুলো হচ্ছে- পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ না করা, অবিলম্বে ‘সন্ত্রাসী গডফাদার’ বেলালকে গ্রেফতার করা, হকারদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ বাবদ জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা প্রদান করা, চায়না টাউন মার্কেটে হকারদের দোকান বরাদ্দ দেওয়া এবং হকার্স নেতা দেলোয়ারকে মুক্তি দেওয়া।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হকার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার হায়াৎ বলেন, ২০২০ সালের মার্চ মাসে করোনা মহামারির থাবায় হকাররা লকডাউনে গৃহবন্দী হয়। ওই সময় সংগঠন থেকে ১০ হাজার হকারের তালিকা প্রণয়ন করে সিটি করপোরেশন, ডিসি অফিস, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো জায়গা থেকে হকারদের রেশন কার্ড, আর্থিক সহযোগিতা, ত্রাণ দেওয়া হয়নি। শীতের মৌসুম হকারদের বেচা-বিক্রির উত্তম সময়, হকাররা ধার-দেনা করে, মহাজনের কাছ থেকে, বিভিন্ন সমিতি থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে শীতের মালামাল কেনাবেচা করছে। গত ১ ফেব্রুয়ারি নয়াপল্টনে চায়না ডেভলপারের মালিক ও তার বাহিনী সরকারি নির্দেশনা ছাড়া সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে হকারদের কোটি টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়, দোকানপাট ভাঙচুর করে, ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।
তিনি আরও বলেন, গত ৩০ বছর ধরে নয়াপল্টন সুপার মার্কেটের সামনে (বর্তমানে চায়না টাউন মার্কেট) ফুটপাতে বসে হকাররা জীবন-জীবিকা করে আসছে। মার্কেটে দোকান পাওয়ার আশায় ৩০ বছর ধরে বেলাল সাহেবকে মাসিক ভিত্তিতে টাকা দিয়ে আসছে; যা কয়েক কোটি টাকা হয়েছে। চায়না টাউন মার্কেটের স্থাপনার কাজ শেষের দিকে। বেলাল সাহেবের কাছে হকাররা দোকান চাইলে উল্টো তাদের ৩০ বছরের আত্মকর্মসংস্থান থেকে উচ্ছেদ হতে হয়েছে। ফলে পরিবার-পরিজন নিয়ে গভীর বিপাকে পড়েছে হকাররা। সরকার বা সিটি করপোরেশনের কোনো নিদের্শনা ছাড়া কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে কোন ক্ষমতার দাপটে বেলাল এই জঘন্য কাজ করেছেন?
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাড. ফিরোজ আলম মামুন, শাহিনা আক্তার, রাকিব হোসেন, ফারুক হোসেন, মোস্তফা প্রমুখ।
এইচএন/এনএফ