গ্রামীণ অর্থনীতির সংকট ও উত্তরণ

গ্রামীণ অর্থনীতি উন্নয়নশীল দেশের মেরুদণ্ড হলেও, এটি নানা সংকটের সম্মুখীন। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDG) অর্জনের জন্য নির্ধারিত সময়সীমার প্রায় শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়েও অবকাঠামোগত ঘাটতি, বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহের অভাব এবং কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তির সীমিত প্রবেশাধিকার গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনে চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করছে।
বর্তমানে দেশে প্রায় এক বিলিয়ন মানুষ পরিবহন সংকটের শিকার, যাদের বেশিরভাগই গ্রামীণ অঞ্চলে বসবাস করেন। বাংলাদেশেও চিত্র ভিন্ন নয়—গ্রামীণ এলাকায় শহরের তুলনায় বিদ্যুৎ ও পানির সরবরাহের ঘাটতি এবং শিক্ষার সুযোগের সীমাবদ্ধতা লক্ষ্য করা যায়। এই সংকট শুধু কৃষি উৎপাদনশীলতাকে বাধাগ্রস্ত করে না বরং দারিদ্র্যের হার বৃদ্ধি করে এবং তরুণ জনগোষ্ঠীর শহরে অভিবাসনের প্রবণতাকে ত্বরান্বিত করে।
এছাড়াও জলবায়ু পরিবর্তন ও অভ্যন্তরীণ অভিবাসন গ্রামীণ জীবনের সংকটকে আরও গভীরতর করছে। এই নিবন্ধে আমরা গ্রামীণ অর্থনীতির এসব সংকট বিশ্লেষণ করব, যা স্পষ্ট করবে যে উপযুক্ত অবকাঠামো, কার্যকর নীতি এবং পর্যাপ্ত বিনিয়োগ ছাড়া গ্রামীণ উন্নয়ন কেবল একটি অসম্পূর্ণ স্বপ্ন হয়েই থাকবে।
গ্রামীণ এলাকায় প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর অভাব, যেমন সড়ক, বিদ্যুৎ, পানি সরবরাহ এবং টেলিযোগাযোগ, বাজার, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার প্রবেশাধিকার সীমিত করে। দুর্বল পরিবহন ব্যবস্থা কৃষকদের ন্যায্য মূল্যে তাদের পণ্য বিক্রিতে বাধা দেয়। বিশ্বব্যাপী প্রায় ১ বিলিয়ন মানুষ সব ঋতুতে সড়ক ব্যবহার করতে পারে না।
অর্থাৎ বছরের এক বা একাধিক সময় আবহাওয়াজনিত কারণে সড়ক বন্ধ থাকে। হতে পারে সেটি তুষারপাত বা বন্যার কারণে। আর এই সংকটে যারা ভুগছে, তাদের ৮০ শতাংশ বিশ্বব্যাংকের মতে গ্রামীণ এলাকায় থাকে। বাংলাদেশেও এর চিত্র আলাদা নয়। গ্রামীণ অঞ্চলে এখনো প্রতি দশজনের মধ্যে ৪ জন পাকা রাস্তা ব্যবহার করতে পারে না।
গ্রামীণ দারিদ্র্য নিয়ে আলোচনা করলে সাব-সাহারার উদাহরণ দিতেই হয়। এইসব অঞ্চলের গ্রামীণ জনগণের মাত্র ৩৪ শতাংশ বিদ্যুৎ সুবিধা পায়, যেখানে শহুরে এলাকায় এই হার ৪৫ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে, গ্রামীণ এলাকায় লোডশেডিংয়ের সময়কাল শহরাঞ্চলের তুলনায় বেশি। কিছু এলাকায় দিনে ৭-৮ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং হচ্ছে, যা জনজীবন ও কৃষি কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। গ্রামীণ পরিবারের প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৭ জন এখনো বিশুদ্ধ পানির অভাবে ভুগছে।
গ্রামীণ অর্থনীতির ভিত্তি কৃষি হলেও কৃষিতে উৎপাদনশীলতার অভাব বিদ্যমান। অনেক গ্রামীণ এলাকায় জীবিকা কৃষিনির্ভর। আধুনিক চাষাবাদ প্রযুক্তি, মানসম্পন্ন বীজ, সার এবং সেচব্যবস্থার সীমিত প্রবেশাধিকার উৎপাদনশীলতাকে বাধাগ্রস্ত করে। এছাড়াও ক্ষুদ্র ও খণ্ডিত জমির মালিকানা বৃহৎ উৎপাদনের বাধা সৃষ্টি করে।
বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম প্রধান ভুক্তভোগী। দেশে বছরে গড়ে ২-৩টি বড় বন্যা হয়, যা প্রায় ৩০ শতাংশ-৪০ শতাংশ গ্রামীণ কৃষিজমিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
সাহারার দক্ষিণে আফ্রিকায় কৃষি খাতে জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ কাজ করলেও জিডিপিতে এর অবদান মাত্র ১৫-২০ শতাংশ (বিশ্বব্যাংক)। বাংলাদেশেও চিত্র অভিন্ন। কৃষি বাংলাদেশের শ্রমশক্তির ৪০ শতাংশ কর্মসংস্থান নিশ্চিত করলেও জিডিপিতে এর অবদান মাত্র ১৩.৪ শতাংশ (বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, ২০২২)।
এছাড়া দক্ষিণ এশিয়ায় শস্য উৎপাদন উচ্চ-আয়ের দেশগুলোর তুলনায় ৪০ শতাংশ কম (এফএও)। বাংলাদেশে সম্ভাব্য কৃষি উৎপাদনের তুলনায় ৫০ শতাংশ কম উৎপাদন হয়, যার একমাত্র কারণ উন্নত কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার না করা (বণিক বার্তা, ১৫ নভেম্বর ২০২৪)।
দারিদ্র্য এবং মূলধনের অভাব গ্রামীণ অর্থনীতির অন্যতম পরিচিত সংকট। গ্রামীণ দারিদ্র্য বিনিয়োগ, ব্যবসায়িক উন্নয়ন, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ঋণের অভাবে গ্রামীণ উদ্যোক্তা এবং কৃষকরা কার্যক্রম প্রসারিত করতে বা আধুনিক প্রযুক্তি গ্রহণ করতে ব্যর্থ হন।
বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের দারিদ্র্য পীড়িত জনসংখ্যার ৭৯ শতাংশ গ্রামীণ এলাকায় বাস করে। এছাড়া, ক্ষুদ্র কৃষকদের জন্য প্রায় ২৫০ বিলিয়ন ডলার ঋণের ঘাটতি রয়েছে (সিজিএপি, ২০২১)। বাংলাদেশের গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যক্রম আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হলেও, দেশের এসএমই ঋণের ৭০শতাংশ-এর বেশি শহুরে এলাকায় বিতরণ হয়। গ্রামীণ এলাকার অংশ মাত্র ৩০শতাংশ, যা গ্রামীণ অর্থনীতির অগ্রযাত্রায় একটি বড় বাধা।
আরও পড়ুন
গ্রামীণ এলাকায় শিক্ষার নিম্নমান এবং দক্ষতার অভাব অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান প্রতিবন্ধক। কম শিক্ষিত জনগোষ্ঠী আয়ের উৎস বৈচিত্র্যময় করতে বা নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ করতে অক্ষম। ইউনেস্কোর ২০২১ সালের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী ২৪৪ মিলিয়ন শিশু বিদ্যালয়ের বাইরে, যার একটি বড় অংশ সাহারার দক্ষিণে আফ্রিকা এবং দক্ষিণ এশিয়ার গ্রামীণ এলাকায় বাস করে।
বাংলাদেশেও এই সংকট প্রকট। ২০২১ সালের তথ্য অনুযায়ী, দেশের গ্রামীণ এলাকায় সাক্ষরতার হার ৬৫ শতাংশ, যেখানে শহরাঞ্চলে এই হার ৮০ শতাংশ। একই সঙ্গে, টেকনিক্যাল বা পেশাগত শিক্ষায় গ্রামীণ অংশগ্রহণ ১০ শতাংশ-এর নিচে, যা দক্ষ শ্রমশক্তি উন্নয়নের ক্ষেত্রে বড় একটি চ্যালেঞ্জ।
গ্রামীণ অর্থনীতি সাধারণত কৃষিনির্ভর হওয়ায় এটি জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশগত অবক্ষয়ের প্রভাবের প্রতি অত্যন্ত সংবেদনশীল। খরা, বন্যা, মাটির অবক্ষয়, এবং লবণাক্ততা কৃষিজমির উর্বরতা কমিয়ে দেয়, যা ফসল উৎপাদন হ্রাসের পাশাপাশি জীবিকায় ব্যাঘাত ঘটায় এবং দারিদ্র্য বাড়ায়।
আইপিসিসি-র পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০৫০ সালের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সাহারার দক্ষিণে আফ্রিকার কৃষি উৎপাদনশীলতা ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। একইভাবে, মাটির ক্ষয়ের কারণে উন্নয়নশীল দেশের প্রায় ৫২ শতাংশ কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে (এফএও)।
বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম প্রধান ভুক্তভোগী। দেশে বছরে গড়ে ২-৩টি বড় বন্যা হয়, যা প্রায় ৩০ শতাংশ-৪০ শতাংশ গ্রামীণ কৃষিজমিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ততার কারণে ধানের উৎপাদনশীলতা বছরে ১০ শতাংশ-১৫ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। এফএও-র হিসাব অনুযায়ী, ২০৫০ সালের মধ্যে ধানের উৎপাদনশীলতা আরও ১৫ শতাংশ-২০ শতাংশ হ্রাস পেতে পারে।
গ্রাম থেকে শহরে অভিবাসনের ক্ষেত্রে তরুণ ও শিক্ষিত জনগণের স্থানান্তর গ্রামীণ এলাকায় একটি বৃদ্ধ এবং কম উৎপাদনশীল শ্রমশক্তি রেখে যায়। এই ‘মেধা প্রবাহ’ গ্রামীণ এলাকায় উদ্ভাবন, বিনিয়োগ, এবং অর্থনৈতিক কার্যকলাপকে বাধাগ্রস্ত করে।
ভারতে অভ্যন্তরীণ অভিবাসনের ৬০ শতাংশের বেশি মানুষ গ্রাম থেকে শহরে যায় (ভারতীয় জনগণনা, ২০১১)। পূর্ব আফ্রিকার গ্রামীণ এলাকায় প্রতি বছর ২৫-৩০ শতাংশ যুবক শহরে স্থানান্তরিত হয়, যা অর্থনৈতিক ভারসাম্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে (বিশ্বব্যাংক, ২০২০)।
...সংকট নিরসনে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হয়। সামাজিক ব্যবসা ধারণা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তার উদ্যোগের মাধ্যমে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি, বাজারে প্রবেশের সুযোগ এবং উদ্যোক্তাদের জন্য ঋণ ও প্রশিক্ষণ সুবিধা তৈরি হবে, যা উৎপাদনশীলতা ও আয়ের সুযোগ বাড়াবে।
বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ লাখ মানুষ অভ্যন্তরীণ অভিবাসন বেছে নেয়, যার মধ্যে ৭০-৮০ শতাংশই গ্রাম থেকে শহরে চলে আসে। এই অভিবাসীদের মধ্যে প্রায় ৮৪ শতাংশই ঢাকা বা চট্টগ্রামকে তাদের নতুন গন্তব্য হিসেবে বেছে নেয়। বিশ্বব্যাংকের ২০২১ সালের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে প্রায় ১ কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে অভ্যন্তরীণ অভিবাসনের পথে হাঁটছে।
ঢাকা শহরের অভিবাসীদের ৬০ শতাংশেরও বেশি গ্রামাঞ্চল থেকে এসেছে (আইএমইডি, ২০২০)। তবে করোনা মহামারির সময় (২০২০-২১) শহরে কর্মসংস্থানের অভাবে বিপুল সংখ্যক মানুষ গ্রামে ফিরে গেছে, যা অভ্যন্তরীণ অভিবাসনের এক বিপরীত প্রবণতা সৃষ্টি করেছে। এই সংকট থেকে বোঝা যায়, গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালী না হলে অভিবাসনের চাপ কমানো অসম্ভব।
ভূমি বাজার এবং প্রযুক্তিতে গ্রামীণ জনগণের অতি সীমিত প্রবেশাধিকার রয়েছে। অনেক গ্রামীণ এলাকা ভৌগোলিক বিচ্ছিন্নতার কারণে জাতীয় এবং বৈশ্বিক বাজারে প্রবেশাধিকার থেকে বঞ্চিত। এছাড়াও সীমিত ডিজিটাল সংযোগ গ্রামীণ ব্যবসাগুলো ই-কমার্সের সুযোগ নিতে বাধা দেয়। উন্নয়নশীল দেশের মাত্র ৪০ শতাংশ গ্রামীণ পরিবার ইন্টারনেট সুবিধা পায়, যেখানে শহরে এই হার ৭০শতাংশ (আইটিইউ, ২০২১)।
উন্নয়নশীল দেশের কৃষকরা বাজার এবং সংরক্ষণের অভাবে তাদের ফসলের ৩০-৪০ শতাংশ নষ্ট করে (এফএও)। বাংলাদেশে দেখা যায়, গ্রামীণ পরিবারগুলোর মধ্যে ২০ শতাংশের বেশি ভূমিহীন (বিআইডিএস, ২০২১)। এছাড়া গড় কৃষি জমির আকার প্রতি পরিবারে ০.৫২ হেক্টর, যা অত্যন্ত নগণ্য এবং অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক উৎপাদনের জন্য যথেষ্ট নয়।
এইসব সংকটের সাথে রয়েছে প্রশাসনিক দুর্বলতা এবং প্রাতিষ্ঠানিক বাধা। দুর্বল প্রশাসন এবং দুর্নীতি প্রায়শই সম্পদের অকার্যকর বরাদ্দ এবং গ্রামীণ উন্নয়ন নীতিগুলোর দুর্বল বাস্তবায়নের দিকে নিয়ে যায়। এছাড়াও গ্রামীণ জনসংখ্যার রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব সীমিত। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (২০২২)-এর তথ্য অনুযায়ী, নিম্ন আয়ের দেশের গ্রামীণ অবকাঠামো প্রকল্পগুলোয় দুর্নীতি-সম্পর্কিত ব্যয়ের ওভাররান ৩০-৪০ শতাংশ। আবার, অনেক গ্রামীণ অঞ্চল, জনসংখ্যার একটি বড় অংশের বাসস্থান হওয়া সত্ত্বেও, জাতীয় উন্নয়ন বাজেটের মাত্র ১০-১৫ শতাংশ পায়।
গ্রামীণ অর্থনীতির সংকট দেশের উন্নয়ন ও মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। অবকাঠামোগত ঘাটতি, প্রযুক্তির অভাব, কৃষিতে কম উৎপাদনশীলতা, দারিদ্র্য এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব গ্রামীণ জনগণের জীবনযাত্রাকে সংকটাপন্ন করছে। এই সংকট নিরসনে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নাম বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হয়। সামাজিক ব্যবসা ধারণা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তার উদ্যোগের মাধ্যমে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি, বাজারে প্রবেশের সুযোগ এবং উদ্যোক্তাদের জন্য ঋণ ও প্রশিক্ষণ সুবিধা তৈরি হবে, যা উৎপাদনশীলতা ও আয়ের সুযোগ বাড়াবে।
তাছাড়া, টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে কৃষি প্রযুক্তির আধুনিকীকরণ, শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি এবং দক্ষতার উন্নয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং পরিবেশগত স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ও টেকসই ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এসব বিষয়ে বাংলাদেশের সরকারে ড. ইউনূসের চেয়ে অভিজ্ঞ বিশ্বে খুব কমই রয়েছে, তাই দেশের মানুষ তার কাছ থেকে যুগান্তকারী পদক্ষেপ আশা করতে পারে।
ড. এ কে এম মাহমুদুল হক ।। অধ্যাপক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়