মোজাফফর আহমদের কখনোই লোভ ছিল না : পল্টু

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু বলেছেন, অধ্যাপক মোজাফফর আহমদকে কখনোই লোভ-লালসা স্পর্শ করতে পারেনি। নিজেকে তিনি বলতেন, ‘কুঁড়েঘরের মোজাফফর’। আমি তাকে কাছ থেকে দেখেছি, তার নীতিবোধ, দেশপ্রেম ও আদর্শ থেকে তাকে এক ইঞ্চি পরিমাণও বিচ্যুত করতে পারেনি।
শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম মিলনায়তনে ন্যাপের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মরহুম অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণসভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বর্তমান রাজনীতিতে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের রাজনীতিক দলগুলো এক হয়ে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তিকে প্রতিহত করতে হবে। যারা মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের গাড়িতে পতাকা উড়িয়েছিল, তাদের প্রতিহত করতে হবে।
ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, আমাদের সৌভাগ্য তারুণ্যের এমন একটি সময় আমরা রাজনীতি করেছি যখন স্বাধীনতা এসেছিল। রাজনীতিই ছিল অধ্যাপক মোজাফফর আহমদের শুরু আর শেষ। যে রাজনীতির সুযোগ নিয়ে নিজের ভাগ বাটোয়ারা আর নিজের হিসাব বুঝে নিতে দ্বিধাবোধ করে না কেউ। সেখানে মোজাফফর আহমদের মতো মানুষ ব্যতিক্রম। প্রগতিশীল-গণতান্ত্রিক রাজনীতির ব্যক্তিত্ব নিজেকে সাদামাটাভাবে উপস্থাপন করতে ভালোবেসেছেন আজীবন।
রাজনীতিবিদ শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, কমিউনিস্ট পার্টি ও ছাত্র ইউনিয়ন থেকে ১৯ হাজারের বেশি মুক্তিযোদ্ধা সংগঠিত করার পেছনে তার ভূমিকা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার তথা মুজিবনগর সরকার ছয় সদস্যের যে উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করেছিল তিনি ছিলেন সেই উপদেষ্টা পরিষদের অন্যতম সদস্য। ১৯৬৯ সালে আইয়ুব সরকারবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারীদের একজন তিনি।
সাবেক শিল্পমন্ত্রী কমরেড দিলীপ বড়ুয়া বলেন, সরল ও সাহসী অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ আজীবন সমাজতান্ত্রিক রাজনীতিকে অবলম্বন করে নিজের সমস্ত অধিকার বিলিয়ে দিয়েছেন গণমানুষের মাঝে। এই সমাজতান্ত্রিক ব্যক্তি বারবার এগিয়ে এসেছেন মানুষের গণঅধিকারের দাবিতে। নিজের জীবনের সুবর্ণ সময়েও গণমানুষের পাশে দাঁড়াতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেননি।
স্মরণসভায় ন্যাপের সভাপতি আইভি আহমেদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ন্যাপসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
আইবি/এমএ