বিএনপি কার্যালয়ের সামনে উৎসুক জনতার ভিড়
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে সন্ধ্যায় হঠাৎ উৎসুক জনতার সংখ্যা বাড়তে থাকে। মিনিট বিশেকের মধ্যে এসব উৎসুক জনতাকে সরিয়ে দেয় পুলিশ। তবে কিছুটা সময় পার হতেই আবার বাড়তে থাকতে সাধারণ মানুষের ভিড়।
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় সরেজমিনে এসব উৎসুক জনতার বেশ কয়েকজনের সঙ্গে আলাপ হলে তারা জানান, বিএনপির কার্যালয়ের সামনে কি হচ্ছে, তা দেখতে এসেছেন তারা। শনিবার (১০ ডিসেম্বর) বিএনপির জনসভা হবে কি না তা নিয়েও আগ্রহী তারা।
তাদের মধ্যে একজন আল-আমিন। পেশায় কনস্ট্রাকশনের কাজ করা পুরান ঢাকার নাজিরা বাজারের এই বাসিন্দা বলেন, টিভিতে-ফেসবুকে অনেক কিছুই তো দেখি। এখন সামনে থেকে দেখতে এসেছি, এখানে কি হচ্ছে। ঘণ্টাখানেক হলো এসেছি। একটা আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা আসতে পারছে না। পরশু এখানে সমাবেশ হবে কি না সেটাও জানি না। তাই ভাবলাম, পরিস্থিতি কেমন দেখে যাই।
মো. মিজান নামের আরেক উৎসুক জনতার কাছে জানতে চাওয়া হয়, তার এখানে আসার কারণ কী? জবাবে তিনি বলেন, আমি সাধারণ নাগরিক। একটু দেখতে এসেছি। কিন্তু এখানে এসে ভয়ের কিছু দেখছি না। আমিতো পুলিশের সামনে দিয়ে আসলাম, তারা কিছুই বলেনি।
বিএনপির কার্যালয়ের উল্টো পাশের সড়কে বেশ কয়েকটি রিকশা দাঁড়ানো। যাত্রী না থাকলেও চালকরা রিকশায় বসে পরিস্থিতি দেখছেন। যাত্রী না থাকার পরও কেন বসে আছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে মাইনুল ইসলাম নামের এক রিকশাচালক বলেন, তামাশা দেখি। আমিতো সমাবেশে আসিনি। এখানে সাধারণ মানুষ আর পুলিশই বেশি। বিএনপির নেতাকর্মীরা তো কেউ নেই।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেল চারটার দিকে নয়াপল্টন এলাকায় দুই দিকের রাস্তা জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। বর্তমানে নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে ফকিরাপুলের রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। পাশাপাশি সড়কে পুলিশের টহল অব্যাহত রয়েছে।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনেই বিভাগীয় গণসমাবেশ হবে। এর মধ্যে গ্রহণযোগ্য বিকল্প কোনো জায়গার নাম আমাদের কাছে এলে বিবেচনা করে দেখা হবে।
এনআই/কেএ