আ.লীগের কাউন্সিল সাশ্রয়ী করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

করোনা মহামারি ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে। সেই মন্দার কবল থেকে রক্ষা পায়নি বাংলাদেশও। এ অবস্থায় আগামী ২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলে ব্যয় সাশ্রয়ের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ জন্য জাতীয় কাউন্সিল অত্যন্ত সাদামাটা ও সংক্ষিপ্ত পরিসরে করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ২২তম জাতীয় সম্মেলনের মঞ্চ পরিদর্শনে এসে এ কথা জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ। দীর্ঘ সময় ধরে দুই দিনব্যাপী আমাদের কাউন্সিল সম্পন্ন হয়ে আসছিল। কিন্তু এবার খরচ কমানোর লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী দুই দিনের জায়গায় একদিন করার নির্দেশনা দিয়েছেন এবং একদিনেই তা সম্পন্ন হবে। আওয়ামী লীগের কাউন্সিলকে সামনে রেখে ঢাকা শহরসহ সারাদেশে নতুন সাজে সজ্জিত করার ইতিহাস রয়েছে। কিন্তু এবার আমরা ঢাকা মহানগরসহ বাংলাদেশের কোথাও সাজসজ্জার দিকে যাচ্ছি না। সম্মেলন সাদামাটা করা হলেও লাখো আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, কাউন্সিলর, ডেলিগেটরা আসবেন। তাদের উচ্ছ্বাসের কোনো ঘাটতি থাকবে না।
আরও পড়ুন : ২২তম সম্মেলন : আকার বাড়বে না আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির
নানক বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা বিবেচনায় সাদামাটা সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে ২২তম জাতীয় সম্মেলন অত্যন্ত অর্থবহ হবে। একইসঙ্গে সম্মেলনের মাধ্যমে যে নতুন নেতৃত্ব আসবে সে নেতৃত্বের অধীনেই জাতীয় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনাকে চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার অঙ্গীকার থাকবে।
তিনি বলেন, আমরা কাউন্সিলের সমস্ত আয়োজন সম্পন্ন করছি। ইতোমধ্যে মঞ্চ প্যান্ডেলসহ আনুষঙ্গিক সব কিছু তৈরি করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আশা করি, আগামী ২১ ডিসেম্বরে মধ্যে পরিপূর্ণভাবে সমস্ত আয়োজন সম্পন্ন করতে পারব।
কাউন্সিলে বিএনপিকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে সভাপতিমণ্ডলীর এ সদস্য বলেন, এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে আমরা প্রতিবারই তাদের আমন্ত্রণ জানিয়ে থাকি।
দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, এটা একটা বিশাল মিলন-মেলায় পরিণত হবে। এই মিলন-মেলায় সারাদেশের তরুণ-প্রবীণ নেতাকর্মীরা যারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সঙ্গে সারাজীবন কাজ করেছে, তাদের অংশগ্রহণ নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।
আরও পড়ুন : ‘ক্যারিশমাটিক’ কাদেরের হ্যাটট্রিক নাকি নতুনে পথ চলবে আ.লীগ
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, এ সম্মেলন আমাদের বিশাল কর্মযজ্ঞ। যদিও সাদামাটাভাবে এবারের সম্মেলন করার নির্দেশনা রয়েছে। এ সম্মেলনের মাধমে যে নতুন নেতৃত্ব আসবে সেই নেতৃত্বের অধীনেই ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনে মধ্য দিয়ে আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করব।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন দলের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, আইন সম্পাদক নজিবুল্লাহ হিরু, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়োর হোসেন, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য এবিএম রিয়াজুল কবির কাওসার প্রমুখ।
এমএসআই /এসকেডি