গণমাধ্যমের কণ্ঠ স্তব্ধ করতে ডিজিটাল আইনকে ব্যবহার করছে সরকার
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, বর্তমানে মানুষের ভোট দেওয়ার এবং কথা বলার স্বাধীনতা নেই। সংবাদপত্রের স্বাধীনতাও নেই। এখন শুধু বিএনপি নেতাকর্মীরা নয়, সাধারণ মানুষও সরকারের নির্যাতন থেকে বাদ যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, নওগাঁর সরকারি কর্মচারী একজন নারীকে কী কারণে র্যাব তুলে নিয়ে গেল এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। তুলে নিয়ে যাওয়ার পর নির্যাতন করে তাকে মেরে ফেলা হলো। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের অপপ্রয়োগের ফলে একজন নিরপরাধ নারীর জীবন পর্যন্ত চলে গেল। এর দায় সম্পূর্ণ সরকারকে নিতে হবে।
শনিবার (১ এপ্রিল) বিকেলে কর্তৃত্ববাদী সরকারের পদত্যাগ ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির উদ্যোগে কেন্দ্র ঘোষিত দুই ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মাহবুবের রহমান বলেন, প্রথম আলো পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমানসহ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে একের পর এক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর চরম আঘাত। গণমাধ্যমের কণ্ঠকে নিস্তব্ধ করার জন্যই এই কালো আইনকে ব্যবহার করে দমন নিপীড়ন চালাচ্ছে সরকার। আমরা দাবি করছি, অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করে সাংবাদিক মতিউর রহমান, যুগান্তরের মাহবুব আলম লাবলু ও প্রথম আলোর শামসুজ্জামান শামসের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকার আবারও আগের মতো নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে। নির্বাচনে শুধু আওয়ামী লীগ থাকবে আর তাদের পুলিশ পাইক পেয়াদারা থাকবে। যেমন খুশি তেমন সিল মেরে ভোটের আগের রাতেই ফলাফল নিয়ে যাবে। কিন্তু সেটা এবার এ দেশের মানুষ হতে দেবে না। আমাদের একমাত্র পথ হচ্ছে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করে সব মানুষকে একত্রিত করে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তোলা। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে ও অ্যাডভোকেট শওকত ওসমানের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এনামুল হক এনাম ও মোশাররফ হোসেন।
এমআর/এসকেডি