সিসিইউতে সর্বোচ্চ ব্যবস্থায় খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে : ডা. জাহিদ

এভারকেয়ার হাসপাতালে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) সর্বোচ্চ ব্যবস্থায় খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।
বুধবার রাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের বাইরে সাংবাদিকদের কাছে বিএনপি চেয়ারপারসনের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা জানাতে গিয়ে এ কথা জানান তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, কোনো গুজব ছড়িয়ে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করবেন না। ম্যাডাম আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন এবং চিকিৎসা ব্যবস্থার সর্বোচ্চ পর্যায়ে একজন সংকটাপন্ন মানুষের জন্য যেটি প্রয়োজন, সেই চিকিৎসার মধ্যে উনি আছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক জাহিদ বলেন, দেশের মানুষের উৎকণ্ঠা আছে, দেশের মানুষের তার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ আছে, ভালোবাসা আছে এবং সত্যিকার অর্থে দেশের মানুষ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের সর্বশেষ অবস্থা জানতে চায়। সেজন্য আমরা আপনাদের সামনে এসছি। কিন্তু মনে রাখতে হবে, সবার শেষে উনি একজন রোগী। উনার নিজস্ব কিছু এথিক্যাল রাইটসের প্রিভিলেজ আছে। ইচ্ছা করলেই আমি চিকিৎসক হিসেবে সবকিছু আপনাদের কাছে প্রকাশ্যে বলে দিতে পারি না, এটি মেডিকেল সায়েন্সে কোনো অবস্থায় পারমিট করে না।
জাহিদ বলেন, আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই উনাকে যে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, সেই চিকিৎসা উনি আগের মতো মেডিকেল সায়েন্সের ভাষায় যদি বলি— শি ক্যান কন্টিনিউ অর ম্যানটেনিং হার ট্রিটমেন্ট। ডাক্তাররা যে চিকিৎসা দিচ্ছেন, সেটি উনি গ্রহণ করতে পারছেন এবং সেটি উনি নিয়ে সত্যিকার অর্থে রেসপন্স করছেন।
গত ২৩ নভেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের নিয়ে একটি মেডিকেল বোর্ড বিএনপি চেয়ারপারসনকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসা দিচ্ছেন। তার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে বোর্ডে দেশের বাইরের যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়ার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত থাকছেন। চীন ও ব্রিটেন থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরাও ঢাকায় এসে বিএনপি চেয়ারপারসনকে দেখেছেন।
লন্ডন থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহধর্মিণী জুবাইদা রহমানও ঢাকায় এসে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা তদারকি করছেন।
ডা. জাহিদ বলেন, দেশ-বিদেশের চিকিৎসকদের পরামর্শক্রমে উনার চিকিৎসা অব্যাহত রয়েছে এবং আমরা খুবই আশাবাদী। মেডিকেল বোর্ডের সব সদস্যও আশাবাদী যে উনার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা যাবে।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, পরবর্তী সময়ে হয়তো উনাকে যেকোনো সময় প্রয়োজনে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। এখনো এই জিনিসটি আপনাদের মাধ্যমে বলার সময় আসেনি। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কী ধরনের ব্যবস্থা উনার জন্য রেখেছেন, সেটি আমাদের ধরাছোঁয়ার মধ্যে পড়ে না। কাজেই মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের রহমত এবং মানুষের দোয়া, চিকিৎসার সঙ্গে সম্পৃক্ত চিকিৎসক-নার্সসহ সব পর্যায়ের মানুষের অব্যাহত প্রচেষ্টায় উনার চিকিৎসা চলছে। সবাই উনার সুস্থতার জন্য দোয়া করবেন।
এএইচআর/এমজে