পরশের সামনেই মারামারিতে জড়ালেন যুবলীগের নেতাকর্মীরা

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের উদ্যোগে আয়োজিত ‘১৫ ও ২১ আগস্ট শহীদদের স্মরণে’ আলোচনা সভায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া এবং চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন।
শনিবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় নির্বাক তাকিয়ে ছিলেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। আলোচনা সভার বিশেষ অতিথি যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল তখনও এসে উপস্থিত হননি।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, আলোচনা সভায় দক্ষিণ যুবলীগের নেতারা বক্তব্য রাখছিলেন। রাজধানীর মতিঝিলের ৯ নং ওয়ার্ড যুবলীগের পৃথক দুইটি মিছিল একসঙ্গে মাঠে প্রবেশ করে। এ সময় হঠাৎ চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও হাতাহাতি শুরু হয়। যুবলীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা মঞ্চ থেকে বারবার তাদের শান্ত থাকার অনুরোধ জানালেও তাতে কোনো কাজ হয়নি। প্রায় ১০ মিনিট পর জ্যেষ্ঠ নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

জানা গেছে, মতিঝিলের ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জামাল হোসেনের অনুসারীদের সঙ্গে একই ওয়ার্ডে বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি নূর ইসলাম নূরুর অনুসারীদের মারামারি হয়। এক পর্যায়ে দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা মঞ্চ থেকে নেমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন এবং আহতদের সান্ত্বনা দেন।
চেয়ার ছোড়াছুড়ি প্রসঙ্গে নূর ইসলাম নূরু বলেন, ক্যাসিনো মামলার আসামি জামাল ও তার গ্রুপের লোকজন আজকে সমাবেশে এসেছিল বিশৃঙ্খলা করার উদ্দেশ্যে। ৯ নং ওয়ার্ড থেকে আমরা যারা আজ এই আলোচনা সভায় এসেছি, তাদের উপরে অতর্কিত হামলা করছে জমালের লোকজন। জামালের সঙ্গে না থাকলে গুলি করে মেরে ফেলারও হুমকি দিয়েছে তারা। আমাদের ৫টি মোবাইল ও তিনটি মানিব্যাগ নিয়ে গেছে জামালের লোকজন।
অভিযোগের বিষয়ে জামাল বলেন, নূরু হচ্ছে সাবেক যুবদল নেতা। তাকে কয়েক দিন আগে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তার লোকজন প্রথমে হামলা করছে।
এমএসআই/এসকেডি