‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ উপলক্ষে ৩০ ডিসেম্বর আ.লীগের কর্মসূচি

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের ২য় বর্ষপূর্তির দিনে আগামী বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) দেশব্যাপী ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ উদযাপন করবে দলটি। ওই দিন ঢাকাসহ সারাদেশের জেলা-উপজেলায় আলোচনা সভা করবে ক্ষমতাসীনেরা।
সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) দলটির দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, ৩০ ডিসেম্বর সকাল ১১ টায় রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম।
একই দিন বিকেল ৩টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি ও ড. হাছান মাহমুদ। আওয়ামী লীগের সব জেলা, মহানগর, উপজেলা ও থানা শাখাসমূহে ৩০ ডিসেম্বর একই কর্মসূচি পালিত হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে ‘‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস” উপলক্ষে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ ঘোষিত কর্মসূচি স্বাস্থ্যবিধি মেনে যথাযথভাবে পালনের জন্য দেশের সব জেলা, মহানগর, উপজেলা ও থানা আওয়ামী লীগসহ সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। একইসঙ্গে দেশের সর্বস্তরের জনগণকে দিনটি যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে উদযাপনের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পক্ষে ব্যালটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের পক্ষে নৌকা প্রতীকে গণরায় প্রদান করে। স্বাধীনতাবিরোধী-যুদ্ধাপরাধী, ১৫ আগস্ট, জেলহত্যা ও ২১ আগস্টের খুনি এবং সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে দেশের জনগণ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয় বিএনপি তাদের ষড়যন্ত্রের রাজনীতির ধারাবাহিকতায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে এবং জনগণের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণা ও নির্বাচন কেন্দ্রিক উৎসব-আমেজে স্থবিরতা সৃষ্টি করতে অপতৎরপতা চালায়। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এবং পরে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা বিনষ্টে সারাদেশে বিএনপি-জামায়াত অশুভ জোট আগুনসন্ত্রাস চালায় ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। বিএনপি-জামায়াতের আগুনসন্ত্রাসে শত শত সাধারণ মানুষ নিহত হয়। এখনও অসংখ্য মানুষ আগুনসন্ত্রাসে দগ্ধ হয়ে দুর্বিষহ যন্ত্রণা ভোগ করছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ এ দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সুরক্ষা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে উদ্ভাসিত সমাজ বিনির্মাণ করতে বদ্ধপরিকর। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশ যখন ধারাবাহিক অগ্রগতির মধ্য দিয়ে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে, তখনই একাত্তরের পরাজিত অপশক্তি বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রাকে ব্যাহত করার নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও উন্নয়নের ইতিহাসে একটি বিজয়ের মাইলফলক। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে অশুভ শক্তি, দুর্নীতি-সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকদের আস্ফালন আর সহিংস রাজনীতির অন্ধকার ছায়া কাটিয়ে গণতন্ত্রের নবতর অভিযাত্রায় অগ্রসর হয় বাংলাদেশ। এই কারণে ৩০ ডিসেম্বর ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জেলা, মহানগর, উপজেলা ও থানা পর্যায়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।
এইউএ/এইচকে