শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে আওয়ামী লীগকে মানতে হবে যে ২০ শর্ত

রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেট সংলগ্ন এলাকায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। তবে এতে ২০টি শর্ত জুড়ে দিয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) ডিএমপি কমিশনারের পক্ষে বিশেষ সহকারী মোহাম্মদ নাজমুর রায়হান স্বাক্ষরিত লিখিত স্মারকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজকে এ তথ্য জানানো হয়।
ডিএমপির ২০ শর্তে বলা হয়, আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০ শর্ত যথাযথ পালন সাপেক্ষে ২৮ অক্টোবর দুপুর ১২টার আগে সমাবেশস্থলে জমায়েত করা যাবে না। আবেদনের প্রেক্ষিতে নিম্নবর্ণিত শর্তাবলি যথাযথভাবে পালন সাপেক্ষে দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেইট সংলগ্ন এলাকায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করার অনুমতি প্রদান করা হলো।
আরও পড়ুন
আ. লীগকে মানকে হবে যে ২০ শর্ত
১. এই অনুমতিপত্র স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়, স্থান ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে অনুমোদন নিতে হবে।
২. স্থান ব্যবহারের অনুমতিপত্রে উল্লিখিত শর্তাবলি যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
৩. অনুমোদিত স্থানের মধ্যেই সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
৪. বেলা ১২টার পূর্বে কোনোক্রমেই জনসমাগম করা যাবে না।
৫. নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে।
৬. নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশে আগতদের হ্যান্ড হেল্ড মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে (ভদ্রোচিতভাবে) চেকিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।
৭. অনুমোদিত স্থানের বাইরে কোথাও লোক সমবেত হতে পারবে না।
৮. আযান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময় মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।
৯. ধর্মীয় অনুভূতির উপর আঘাত আসতে পারে এমন কোনও বিষয়ে কিছু প্রদর্শন, বক্তব্য প্রদান বা প্রচার করা যাবে না।
১০. অনুমোদিত সময়ের মধ্যে (দুপুর ২টা থেকে ৫ টা) সমাবেশের সার্বিক কার্যক্রম অবশ্যই শেষ করতে হবে।
১১. সমাবেশ সমাপ্তির পর প্রস্থানের সময় রাস্তায় কোথাও কোনও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ বা অবস্থান করা যাবে না।
১২. আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত কোনও ব্যক্তি সমাবেশে বক্তব্য প্রদান বা তার কোনও বক্তব্য সমাবেশে প্রচার করা যাবে না।
১৩. রাস্তার বাম লেন ন্যূনতম ব্যবহার করে সমাবেশ করতে হবে এবং অন্য লেনগুলো কোনোক্রমেই ব্যবহার করা যাবে না।
১৪. আইন-শৃঙ্খলা পরিপন্থি ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কার্যকলাপ করা যাবে না।
১৫. রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কার্যকলাপ ও বক্তব্য প্রদান করা যাবে না।
১৬. উসকানিমূলক কোনো বক্তব্য প্রদান বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না।
১৭. সমাবেশে ব্যানারের আড়ালে কোনও ধরনের লাঠি-সোটা বা রড সদৃশ কোনো বস্তু ব্যবহার করা যাবে না।
১৮. আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ও কোনো বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন।
১৯. উল্লিখিত শর্তাবলি যথাযথভাবে পালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে এই অনুমতির আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে।
২০. জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোনও কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে এই অনুমতি আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন।
চিঠির অনুলিপি অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস, ট্রাফিক) ও যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপারেশনস), উপ-পুলিশ কমিশনার (মতিঝিল বিভাগ, ট্রাফিক-মতিঝিল, অপারেশনস), বিশেষ পুলিশ সুপার, নগর বিশেষ শাখাকে অবহিত করা হয়েছে।
জেইউ/এমজে