‘জামায়াতকে নিয়ে কাদেরের বক্তব্য রাজনীতির দেউলিয়াত্বের পরিচয়’

‘জামায়াত নিবন্ধিত দল নয়, তাই প্রকাশ্যে রাজনীতিতে আসার সুযোগ নেই’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের দেওয়া এমন বক্তব্যকে বেআইনি, অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক উল্লেখ করে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে দলটি।

রোববার (২১ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গতকাল আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘জামায়াত নিবন্ধিত দল নয়, তাই প্রকাশ্যে রাজনীতিতে আসার সুযোগ নেই’। এই বক্তব্য বেআইনি, অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক। আমি তার এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামী একটি নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। প্রহসনের নির্বাচন ব্যতীত অতীতে প্রত্যেকটি জাতীয় নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী অংশগ্রহণ করেছে এবং জাতীয় সংসদে জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব ছিল। অতীতে উপজেলা নির্বাচনেও জামায়াতে ইসলামীর বিপুল সংখ্যক প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করেছেন। একটি নির্বাচনমুখী দল হিসেবে জামায়াত নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের নেতৃত্ব পরিবর্তনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।

জামায়াতে ইসলামীর অব্যাহত জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে সরকারের মদদে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের জন্য পরিকল্পিতভাবে মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি শুনানি ব্যতিরেকে ‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’ করা হয়।

তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি করা ও মানবতার কল্যাণে ভূমিকা রাখার ব্যাপারে কোনো আইনি প্রতিবন্ধকতা নেই। জামায়াতে ইসলামী দেশের আইন ও সংবিধান মেনেই দেশে প্রকাশ্যে রাজনীতি করে আসছে। এতে বাধা দেওয়ার এখতিয়ার কারো নেই। সরকার বিগত ১৫ বছর যাবত বাংলাদেশে বিরোধী মতের কাউকে রাজনীতি করতে দিচ্ছে না। এমনকি কথা বলার অধিকারও হরণ করা হয়েছে।

গোলাম পরওয়ার বলেন, ওবায়দুল কাদের জামায়াতকে টার্গেট করে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। জামায়াতের রাজনীতি জনগণের কল্যাণে এবং জনগণ জামায়াতের সঙ্গে রয়েছে। কোনো মন্ত্রীর জামায়াতের রাজনীতি নিয়ে বক্তব্য জনগণের মধ্যে কোনো প্রভাব ফেলবে না। বরং কোনো রাজনৈতিক দলকে রাজনীতি করতে না দেওয়ার মানসিকতা তাদের গণবিচ্ছিন্ন করবে। ওবায়দুল কাদেরের এ বক্তব্য তাদের রাজনীতির দেউলিয়াত্বের পরিচয় মাত্র।

জেইউ/এসকেডি