ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, মানুষের নাগরিক ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধভাবে জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। কর্তৃত্ববাদী দুঃশাসন রাজনৈতিক দল ও জনগণকে এক কাতারে নিয়ে এসেছে।
মঙ্গলবার (৭ মে) বিকেলে পুরানা পল্টনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা করে ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব প্রদানকারী ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল হিসাবে টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পরও নিজেদের জনপ্রিয়তার প্রতি ন্যূনতম আস্থা নেই। ফলে ডামি নির্বাচন দিয়ে তাদেরকে ক্ষমতায় আসতে হয়। ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিতে হয়। এটা সরকারের জন্য লজ্জার।
তিনি বলেন, দেশকে সম্ভাব্য বিপর্যয় থেকে রক্ষা করতে এখন সরকারকে একটা অবাধ, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের রাজনৈতিক ঝুঁকি নিয়ে তাদের জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতার প্রমাণ দেওয়া দরকার। অন্যথায় সরকারের প্রতিহিংসা-প্রতিশোধের রাজনীতি দেশকে অনিবার্য বিপর্যয়ের খাদে নিপতিত করবে।
সম্প্রতি গণমাধ্যমে ‘ধর্মান্তরকরণে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর নতুন মিশন! বাড়ছে উদ্যোগ।’ শিরোনামে যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন সংগঠনের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ।
পর্যালোচনা সভায় তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইসলাম পন্থা ও ধর্মীয় আলেমগণকে নিয়ে এই প্রতিবেদন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমরা দেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্কে বিশ্বাসী। এই সম্পর্ক নষ্ট করতে একটি পক্ষ সবসময় সচেষ্ট থেকেছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম আতিকুর রহমান, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, দপ্তর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, সংখ্যালঘু বিষয়ক সম্পাদক শায়খুল হাদীস মকবুল হোসাইন, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, জিএম রুহুল আমিন, অধ্যাপক নাসির উদ্দিন খান, হাফেজ মাওলানা নূরুল করীম আকরাম, মাওলানা আরিফুল ইসলাম, আব্দুল আউয়াল মজুমদার।
জেইউ/কেএ