বিচারপতি আবদুর রউফ সততা ও ন্যায়পরায়ণতার জন্য বিখ্যাত ছিলেন

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, বিচারপতি মরহুম মুহাম্মাদ আবদুর রউফ তার সততা ও ন্যায়পরায়ণতার জন্য বিখ্যাত ছিলেন।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মগবাজারের ইনসাফ বারাকা হাসপাতালে সাবেক বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুর রউফের মরদেহ দেখতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, বিচারপতি আবদুর রউফ দেশের একজন প্রখ্যাত বিচারপতি, একজন বরেণ্য বুদ্ধিজীবী, অত্যন্ত ন্যায়পরায়ণ এবং সিভিল সোসাইটির সুনামধন্য ব্যক্তিত্ব। সারা দেশে তিনি তার সততা ও ন্যায়পরায়ণতার জন্য বিখ্যাত ছিলেন। তিনি আমাদের মাঝ থেকে মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে চিরদিনের জন্য রবের সান্নিধ্যে চলে গেলেন। আমরা তার ইন্তেকালে গভীরভাবে শোকাহত। তার শোকাহত পরিবারের প্রতি সহানুভূতি ও সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। মহান আল্লাহ তাআলার দরবারে তার মাগফিরাত কামনা করছি।
আরও পড়ুন
তিনি আরও বলেন, তিনি দীর্ঘ নেক হায়াত পেয়েছিলেন। দেশ ও জাতির জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আদালত অঙ্গনে তিনি সুবিচারের যে নজির স্থাপন করেছেন সেজন্য আল্লাহ তায়ালা এ নেক আমলগুলো কবুল করুন। স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে ১৯৯১ সালে যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছিল; তখন তিনি চিফ ইলেকশন কমিশনার ছিলেন। ইতিহাসের সh রাজনৈতিক দল মত নির্বিশেষে এটা স্বীকৃত যে, সেই নির্বাচনই ছিল সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। সততা, নিরপেক্ষতার পরিচয় দিয়ে তিনি জাতির কাছে একটি অনন্য অবদান রেখে গেছেন।
তিনি সকলের সঙ্গে সদাচরণ করতেন। তিনি লেখক, কবি, সাহিত্যিক, আলেম ওলামা, রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজসহ সব শ্রেণি পেশার মানুষের সঙ্গে সাবলীলভাবে মিশতেন। তিনি জাতির স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা, নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং সুশাসনের জন্যে অনেক কাজ করে গিয়েছেন। তিনি জাতির যেকোনো ডাকে, রাষ্ট্রের ডাকে, সরকারে ডাকে সাড়া দিয়েছেন। তার এই শূন্যতা কীভাবে পূরণ হবে আমরা জানি না। আজকাল সৎ মানুষ, যোগ্য মানুষ, বিবেকবান মানুষ, সুবিচারপূর্ণ মানুষ খুবই বিরল হয়ে গেছে। জাতির এ দুঃসময়ে সংকটে তার খুবই প্রয়োজন ছিল। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর একটি সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত থেকে তিনি তার সুচিন্তিত পরামর্শ দিয়েছেন। আজ তার ইন্তেকালে জাতির সংকটকালে তার দারুণ শূন্যতা অনুভব করছি। তার এ অবদান আল্লাহ তায়ালা কবুল করুন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিন, ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার-মিডিয়া সম্পাদক আতাউর রহমান সরকার, ঢাকা মহানগরীর দক্ষিণের সহকারী প্রচার-মিডিয়া সম্পাদক আ. সাত্তার সুমন, বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. রহুল আমিন প্রমুখ।
এমএইচডি/এসএসএইচ