প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রত্যাশা শিবিরের

ডাকসু, জাকসু ও রাকসু নির্বাচনের তফসিল ও তারিখ ঘোষণায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের আয়োজনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের তফসিল ও ভোট গ্রহণের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে গত ২৮ জুলাই রাকসু এবং ২৭ জুন জাকসু নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন
গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী শিক্ষার্থীদের দাবি বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে ইতিবাচক ও প্রশংসাযোগ্য। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু, আগামী ১১ সেপ্টেম্বর জাকসু এবং ১৫ সেপ্টেম্বর রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
আমরা প্রত্যাশা করি, নির্ধারিত তারিখেই সব নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলকভাবে সম্পন্ন হবে। এর মাধ্যমে ডাকসুর অচলাবস্থা দূর হয়ে প্রতিষ্ঠানটি নিয়মতান্ত্রিক ধারায় ফিরবে; দীর্ঘ ৩৩ বছর পর জাকসু নতুন প্রাণ ফিরে পাবে; আর প্রায় ৩৫ বছর ধরে স্থবির থাকা রাকসু পুনরায় কার্যকর হয়ে নেতৃত্ব বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
নেতারা আরও বলেন, জাতীয় নেতৃত্ব গঠনের এই গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্মটিকে দীর্ঘদিন রাজনৈতিক হীনস্বার্থ এবং লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি জিইয়ে রাখতে নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছিল। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্রসমাজের প্রত্যাশা ও তাগিদে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ ব্যবস্থাকে পুনরায় সক্রিয় করার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে। তবে ছাত্র সংসদকে ধারাবাহিকভাবে চালু রাখতে হলে প্রয়োজন সুনির্দিষ্ট নীতিমালা, ছাত্রসংগঠন ও প্রশাসনের সদিচ্ছা, স্বাধীন ও রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত নির্বাচন কমিশন। আরও প্রয়োজন স্বচ্ছ, অংশগ্রহণমূলক এবং প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন।
শিবির নেতারা বলেন, তফসিল ঘোষণার পর প্রশাসনের প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো, নিরাপদ ক্যাম্পাস ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করে ছাত্রসমাজকে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন উপহার দেওয়া। আমরা আশা করি, প্রশাসন এ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে শিক্ষার্থীদের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হবে।
নেতারা ছাত্রসংগঠনের নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ছাত্রসমাজের অধিকার আদায়ের এই সুযোগকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করতে হবে। ছাত্ররাজনীতিকে সংঘাত, সহিংসতা ও দমন-পীড়নের সংস্কৃতি থেকে মুক্ত করে শিক্ষার্থীবান্ধব ও গঠনমূলক ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে। আদর্শ, যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতার ভিত্তিতে নেতৃত্ব বেছে নেওয়ার রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি। সেক্ষেত্রে ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। শান্তিপূর্ণ অংশগ্রহণের মাধ্যমে জাতীয় নেতৃত্ব গড়ার এই প্লাটফর্মকে সুসংহত রাখতে সকল সংগঠনকে যথাযথ ভূমিকা পালন করা আহ্বান জানাচ্ছি।
জেইউ/এআইএস