জামায়াত নেতার বক্তব্য প্রশাসনকে সম্পূর্ণ দলীয়করণের ইঙ্গিত

সম্প্রতি চট্টগ্রামের একটি সমাবেশে জামায়াতে ইসলামী নেতা শাহজাহান চৌধুরীর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের সংগঠন বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। সংগঠনটি বলছে তাদের এই বক্তব্য প্রশাসনকে সম্পূর্ণরূপে দলীয়করণের ইঙ্গিত।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এই বিজ্ঞপ্তিতে সই করেছেন সংগঠনটির কার্যকরী সভাপতি ও সাবেক সচিব মো. আব্দুল খালেক।
এতে বলা হয়, বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চট্টগ্রামের একটি সমাবেশে জামায়াতে ইসলামী নেতা শাহজাহান চৌধুরীর একটি বিতর্কিত বক্তব্য বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরামের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। গত ২২ নভেম্বর চট্টগ্রামের সমাবেশে শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘যার যার নির্বাচনী এলাকায় প্রশাসনকে আমাদের আন্ডারে নিয়ে আসতে হবে’। ‘প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, বসবে, গ্রেপ্তার করবে, মামলা করবে এবং পুলিশকে পেছনে পেছনে হাঁটতে হবে। থানার ওসি সকালে আপনার অনুষ্ঠান জেনে নিয়ে আপনাকে প্রটোকল দেবে।’
এতে আরও বলা হয়, এ ধরনের বক্তব্য প্রশাসনকে সম্পূর্ণরূপে দলীয়করণের ইঙ্গিত করে যা নিরপেক্ষ প্রশাসন ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির অন্তরায় ও হুমকিস্বরূপ। বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরামের পক্ষ থেকে এ ধরনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ, ফ্যাসিস্ট বক্তব্যকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্টমুক্ত বাংলাদেশে এ ধরনের বক্তব্য নব্য স্বৈরাচার হওয়ার ইঙ্গিত বিধায় জাতি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রশাসনকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহারের হীন উদ্দেশ্য সম্বলিত জনাব শাহজাহান চৌধুরীর এমস বক্তব্য নিন্দাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। সভ্যতা, শিষ্টাচার, বিনয় এ দেশের মানুষের হাজার বছরের সংস্কৃতির অংশ। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাইয়ের চেতনায় উজ্জীবিত বাংলাদেশ।
বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম মনে করে সুশাসন ও জনসেবা নিশ্চিতে প্রশাসনের কর্মকর্তা কর্মচারীরা সব ধরনের ভয়ভীতি উপেক্ষা করে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্যে প্রশাসনকে ব্যবহারের চেষ্টা থেকে সব রাজনৈতিক দলগুলোকে বিরত থাকতে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
এমএম/বিআরইউ