‘হাজার বছরেও খালেদা জিয়ার মতো জনপ্রিয় নেত্রী আসবে না’

টানা ১৪ দিন ধরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চলছে তার চিকিৎসা। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসা ঘিরে প্রতিদিনই হাসপাতালের সামনে আসছেন দলটির নেতাকর্মীরা। ভিড় জমাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষও। শনিবারও (৬ ডিসেম্বর) এর ব্যতিক্রম ছিল না।
এদিন সকাল থেকে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে উৎসুক জনতা তেমন দেখা না গেলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপস্থিতি চোখে পড়ে। তবে বরাবরের মতোই কঠোর নিরাপত্তায় রয়েছে হাসপাতাল এলাকায়। মূল ফটকের সামনের সড়ক ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রেখেছেন পুলিশ-বিজিবি সদস্যরা। রয়েছেন এসএসএফ সদস্যরাও।
খালেদা জিয়াকে একনজর দেখার আশায় শুক্রবার রাতে নাটোর থেকে রওনা দেন খুরশিদ আলম মৃধা। তিনি জেলার সিংড়া থানা যুবদলের সভাপতি।

খুরশিদ বলেন, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া শুধু একটি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন। তিনি এ দেশের মানুষের আশা-ভরসার প্রতীক। মা নেত্রীকে আজ দেখতে এসেছি। কিন্তু নিরাপত্তার স্বার্থে দেখতে পাইনি। এতে আমার দুঃখ নেই। কারণ তার জন্য মসজিদ-মাদরাসাসহ দেশের সব স্থানে দোয়া করা হচ্ছে। আল্লাহ চাইলে তিনি আমাদের মাঝে আবারও ফিরে আসবেন।
যুবদলের এ নেতা বলেন, বেগম জিয়ার জনপ্রিয়তা সারা বিশ্বে রয়েছে। এক হাজার বছরেও এমন জনপ্রিয় নেত্রী আমাদের মাঝে আসবে কি না আমরা বলতে পারব না। আগামী দিনে শেখ হাসিনার ফাঁসি যেন দেখে যেতে পারেন সেজন্য আমরা দোয়া করি।
বাগেরহাটের মোংলা থেকে এসেছেন আবদুস সাত্তার ব্যাপারী। গত কয়েকদিন ধরে তিনি হাসপাতালের সামনে আসছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর খোঁজখবর নিতে। এমনকি খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া অব্যাহত রেখেছেন বলেও জানিয়েছেন এই বৃদ্ধ।
গত ২৩ নভেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। ২৭ নভেম্বর অবস্থা সংকটাপন্ন হলে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে নিয়ে নিবিড় চিকিৎসা দিচ্ছে মেডিকেল বোর্ড। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ার পরই দেশের চিকিৎসক টিমের সঙ্গে যুক্ত হন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের চিকিৎসকরা। দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, কিডনি, চোখের সমস্যাসহ ডায়াবেটিস ও আর্থরাইটিসের মতো নানা জটিলতায় ভুগছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
এমআরআর/এসএসএইচ