অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির লক্ষ্যেই হাদিকে খুন করা হয়েছে : জামায়াত নেতা

চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেছেন, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পাহারাদার অকুতোভয় সেনানী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যা করা হয়েছে আধিপত্যবাদের নীলনকশার অংশ হিসেবে। চব্বিশের জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে নস্যাৎ করে দেওয়ার লক্ষ্যেই এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। কাজেই খুনিরা দেশের শত্রু। তবে খুন করে কখনো চেতনা ধ্বংস করা যায় না। শহীদ হাদির রক্ত বৃথা যাবে না। ৩৬ জুলাই বিপ্লবের চেতনায় বাংলাদেশ পুনরায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দাঁড়াবে এবং কোনো হেজিমনির ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হতে দেবে না ইনশাআল্লাহ।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বাদ জুমা বাংলাদেশ ইসলামিক একাডেমি (বিআইএ) মসজিদে মহানগর জামায়াত আয়োজিত দোয়া মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দোয়া মাহফিলে মসজিদে উপস্থিত মুসল্লিরা শহীদ শরিফ ওসমান হাদির জন্য দোয়া করেন।
মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদকে আইনি মর্যাদা দেওয়া এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রে উত্তরণের পথ রুদ্ধ করে দেশে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির লক্ষ্যেই হাদিকে খুন করা হয়েছে। এ কারণেই হত্যাকারীরা গণতন্ত্রের শত্রু। শহীদ হাদির রক্তের বদলা নিতে হবে যথাসময়ে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের চ্যালেঞ্জ গ্রহণের মধ্য দিয়ে।
তিনি আরও বলেন, চোরাগোপ্তা হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও নৈরাজ্য সৃষ্টি পতিত স্বৈরাচারের চিরাচরিত অভ্যাস। ষড়যন্ত্রকারীদের পাতা ফাঁদে বাংলাদেশ আটকা পড়বে না। গণমুখী নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন ও নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করেই শহীদি রক্তের বদলা নেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ। সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের শত্রুদের বিরুদ্ধে এই লড়াই দীর্ঘ হবে। এক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন এবং সব ধরনের সহিংসতা পরিহার করে শত্রুদের ভিন্ন বয়ান তৈরির সুযোগ রুখে দিতে হবে।
চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের আমির বলেন, শরিফ ওসমান হাদির শাহাদাতের তামান্না ছিল প্রশ্নাতীত। কথাবার্তা, বক্তব্য ও বিবৃতিতে তিনি বারবার শাহাদাতের আকাঙ্ক্ষার কথা উচ্চস্বরে প্রকাশ করেছেন। আল্লাহর প্রতি তার অবিচল বিশ্বাস তার বক্তব্যে প্রতিধ্বনিত হয়েছে। সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ইতিহাসের প্রসঙ্গ টেনে তিনি ষড়যন্ত্রকারীদের ইসলামবিরোধিতার লাগাম টেনে ধরার চেষ্টা করেছেন এবং এতে তিনি সফল হয়েছেন।
মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, এ কারণেই হাদির হত্যাকারীরা ইসলামেরও শত্রু। কুরআন ও সুন্নাহর শিক্ষার আলোকে সত্যিকার অর্থে একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব নাগরিকের অধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমেই শহীদের রক্তের যথার্থ বদলা নেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ।
এমআর/এসএসএইচ