কওমি মাদরাসার স্বীকৃতি নিয়ে মুলা ঝুলিয়ে রাখত বিএনপি
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচন আসলেই ধর্ম নিয়ে রাজনীতি আর কওমি মাদরাসার স্বীকৃতি নিয়ে মুলা ঝুলিয়ে রাখত বিএনপি। কওমি মাদরাসার স্বীকৃতি বিএনপি দেয়নি, এরশাদও দেয়নি। স্বীকৃতি দিয়েছে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা। স্বীকৃতির পর অনেকে বলেছে চাকরি হবে না। শুধু স্বীকৃতি নয়, সরকারি চাকরিও দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে নারায়ণগঞ্জ জেলা সমিতি আয়োজিত ‘নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রেষ্ঠ পুরস্কার’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করি না, ধর্মের জন্য কাজ করি। তিনি (শেখ হাসিনা) যেমন ইসলাম ধর্মের মানুষদের জন্য কাজ করেছেন ঠিক তেমনি হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মের মানুষদের জন্যও কাজ করেছেন। এগুলো এখন বলার কারণ হলো, নির্বাচনের বেশিদিন আর বাকি নাই। তারা (বিএনপি) আবার নানা ধরনের স্লোগান দেবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই মহামারি আমাদের সরকার অনেক দেশের থেকে ভালোভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে। আমরা যখন টিকা কার্যক্রম শুরু করি, নানা জনে নানা কথা বলেছেন। পরে গোপনে লজ্জায় তারা গিয়েও টিকা নিয়েছেন। আজকে আমাদের দেশে সব মানুষের মাঝে টিকা দেওয়া হচ্ছে। পৃথিবীর অনেক দেশ সেটা দিতে পারেনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা সমিতির সভাপতি এবং পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, বাংলাদেশ যখন স্বাধীন হয় তখন বাংলাদেশে ফিরেই বঙ্গবন্ধু ইসলাম ধর্ম কার্যক্রম শুরু করেছিলেন। রেসকোর্স ময়দানে যে জুয়া খেলা হত সেটি তিনি বন্ধ করেছিলেন। তার জন্য টঙ্গীর ইজতেমা মাঠ আমরা এক টাকার বিনিময়ে পেয়েছি। তিনি ধর্মের প্রতি অনুরাগী ছিলেন। তিনি অল্প সময়ে আমাদের মাঝ থেকে চলে গেছেন, তা না হলে ইসলামকে আমরা আরও ভালো ভাবে প্রতিষ্ঠা করতে পারতাম।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, বাংলাদেশ শিল্প ও বিজ্ঞান গবেষণা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আফতাব আলী শেখ, ইসলামিক স্কলারস শায়েখ আহমাদুল্লা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল আজিজ, অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ও নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
এমএইচএন/আইএসএইচ
