ইতালিতে ঈদুল ফিতর উদযাপিত

ইতালিতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করা হয়েছে। শুক্রবার (২০ এপ্রিল) রাজধানী রোমসহ ইতালির ছত্রিশটি স্থানে ঈদ উদযাপন করা হয়েছে।
রোমের বাংলাদেশি ব্যবসায়িক প্রাণ কেন্দ্র পিয়াচ্ছা ভিত্তোরিও, লারগো প্রেনেসতে, কাসিলিনা ভাঙা দেওয়ালের মাঠসহ একাধিক স্থানে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তরপিনাতারার কাসিলিনা ভাঙা দেয়ালের খোলা মাঠে প্রথম জামাত সকাল ৭টায়, দ্বিতীয় ৭টা ৪৫ মিনিটে এভাবে পরপর পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। একইভাবে লারগো প্রেনেসতে সকাল ৮টায়, দ্বিতীয় জামাত ৯টায় অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও রোমের ব্যবসায়িক প্রাণকেন্দ্র পিয়াচ্ছা ভিত্তোরিও, সেন্তেশেল্লে পিয়াচ্ছা মৃত্তি, আলবানো লাসসিয়ালে, ভেনিসসহ ইতালি রোমের আরো অনেক স্থানে ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা ঈদের জামাত আদায় করেছেন।

এদিকে রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলর ও হেড অব চ্যান্সেলর জসিম উদ্দিন দূতাবাসের পক্ষে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে সকাল ৭টা পয়ত্রিশে প্রথম জামাতে নামাজ আদায় করেন। পরে তিনি সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করে তিনি বলেন, পবিত্র এই ঈদের দিনে ইতালিতে বসবাসরত প্রতিটি বাংলাদেশির সুখ সমৃদ্ধি ও শান্তি কামনা করছি। তিনি আশা ব্যক্ত করেন প্রবাসীরা যেন আগামী একটি বছর ভালো থাকেন। একই সঙ্গে তিনি দেশের উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করেছেন।
ঈদ প্রসঙ্গে ইতালি আওয়ামী লীগের এক নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম এ রব মিন্টু বলেন, এত প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপস্থিতিতে যেন এক টুকরো মিনি বাংলাদেশে নামাজ আদায় করলাম। এভাবে ভেদাভেদ ভুলে আমাদের দেশের জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়ন এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রবাসে সব আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের একই ছাতার নিচে এসে কাজ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে সোনার বাংলা গড়তে ভিশন ২০৪১ সফল করতে এগিয়ে আসতে হবে। ইতালি আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সরদার লুৎফর রহমান আসিফ বলেন, কাঁদে কাঁদ রেখে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকদের একযোগে কাজ করতে হবে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে।
ঈদ নিয়ে কেন্দ্রীয় জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনিচুজ্জামান বলেন, এবার সম্পূর্ণ করোনামুক্ত পরিবেশে ঈদ উদযাপন করেছে প্রবাসীরা। করোনার কারণে গত ৩ বছর স্বল্প পরিসরে ঈদ পালন করা হয়। তাই এবার ঈদে অন্যমাত্রা যোগ হয়েছে। সত্যি ভিন্ন এক আনন্দের অনুভূতি জন্ম দিয়েছে মনে এবারের ঈদ।
ইতালি বৃহত্তর কুমিল্লা সমিতি, ভেনিস সাধারণ সম্পাদক এসটি শাহাদাৎ বলেন, দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়ের মধ্যে ঈদ উদযাপন করেছি। আমরা একে অপরের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি। সর্বোপরি দেশ এবং প্রবাসের যে যেখানে রয়েছে মুসলিম সম্প্রদায়ের সকলের জন্য ঈদুল ফিতরের এ দিনটি গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, আরেকটি ব্যাপার হলো বিশেষ করে ভেনিসে আমাদের ঈদ উদযাপন করা হয়েছে খোলা মাঠসহ ছয়টি স্থানে। এখানে প্রায় ১৫টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে প্রায় ১০ হাজার মুসল্লি এই ঈদুল ফিতরের নামাজে অংশগ্রহণ করেন।
অন্যদিকে রমজানের শেষদিন শুক্রবার ঈদ হওয়ায় অনেকের মধ্যে বাড়তি আনন্দ যোগা হয়। প্রথম জুম্মায় মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে মসজিদে। তরপিনাত্তারা মুসলিম সেন্টার জামে মসজিদের ইমাম হুমায়ুন রশীদ রাজী বাদ জুম্মায় বাংলাদেশসহ সমগ্র মুসলিম উম্মাহর জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত।
এমএ