ফ্রান্সে অভিবাসীদের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় সংঘর্ষ

ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলের কালের পপলাঙ্গ এলাকায় ভিয়েতনাম, ইরাক ও সুদানের শতাধিক অভিবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। ঝুঁকি মোকাবিলায় ওই এলাকায় জরুরি পরিষেবার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করেছে প্রশাসন।
জানা গেছে, সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উত্তর ফ্রান্সের পপলাঙ্গ অঞ্চলের বেল ভু নামের একটি গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। ওই সময় উপকূলীয় সীমান্ত এলাকার একটি খামারবাড়ির কাছে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন শতাধিক অভিবাসী।
সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে পপলাঙ্গে সতর্কতা জারি করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
কালে জেন্ডারমেরির কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন নিলেন বলেন, শতাধিক সুদানি, ইরাকি কুর্দি এবং ভিয়েতনামী অভিবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পরও প্রায় পঞ্চাশ জন অভিবাসীর মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছিল। তখনও পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত ছিল।
ওই এলাকা ধরে হেঁটে যাওয়া সাত জন অভিবাসীর একটি ছোট দল জেন্ডারমেরির কাছের বাস স্টপের ঠিকানা জানতে চাইলে পুলিশ তাদের কাছে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চায়।
অভিবাসীদের মধ্যে একজন পুলিশের কাছে দাবি করেন, অস্থায়ী একটি ক্যাম্পে চার থেকে পাঁচজন ব্যক্তির একটি দল আমাদের টাকা চুরি করতে ঢুকেছিল। এ অভিযোগে তাদের মারধর করা হলে পুরো এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তারা সম্ভবত ইংল্যান্ডের দিকে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং আহতদের খোঁজে ১৫ পুলিশ কর্মকর্তা এবং ১৫ জরুরি পরিষেবার সদস্য মোতায়েন করে প্রশাসন। জরুরি পরিষেবার সদস্যদের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি অগ্নিনির্বাপক গাড়ি, ড্রোন এবং থার্মাল ক্যামেরা যুক্ত হেলিকপ্টার দিয়ে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধারে অভিযান চালানো হয়।
ঘটনাস্থলের চারপাশ দুর্গম এলাকায় হওয়ায় আহত এক ব্যক্তিকে পরিবহনে বেগ পেতে হয়েছে উদ্ধারকর্মীদের। দীর্ঘসময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছিল একটি গাড়িকে।
সংঘর্ষের সময় অভিবাসীরা ছুরি ব্যবহার করেছিলেন বলে শোনা যায়। তবে পুলিশি তল্লাশি শেষে ছুরিকাঘাতে আহত কারো খোঁজ পাওয়া যায়নি। এসময় ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সী একজন কুর্দি এবং একজন সুদানের নাগরিককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কর্তৃপক্ষ।
আহতদের উদ্ধারের পর কালে হাসপাতালে নেওয়া হয়। আর সংঘর্ষে জড়িত ভিয়েতনামী অভিবাসীদের ফরাসি বর্ডার পুলিশের (পিএএফ) দায়িত্বে নেওয়া হয়।
তবে এ ঘটনায় কাউকে বিচারিক তদন্তের জন্য আটক দেখানো হয়নি। অভিবাসীদের মধ্যে বিবাদের মূল কারণ এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।
সূত্র : ইনফোমাইগ্রেন্টস
/এসএসএইচ/