মিসরে বিজয় দিবস উদযাপন

মিসরের কায়রোতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযোগ্য মর্যাদা এবং ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে মহান বিজয়ের ৫২তম বার্ষিকী উদযাপন করেছে।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) দূতাবাসের বিজয় দিবসের প্রধান কর্মসূচির মধ্যে ছিল জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ, বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও দেশের উন্নয়নের ওপর ডকুমেন্টারি প্রদর্শন এবং আলোচনা সভা।
এদিন প্রত্যুষে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে বিজয় দিবসের কর্মসূচির সূচনা হয়। প্রবাসী বাংলাদেশি এবং দূতাবাসের সদস্যদের উপস্থিতিতে দূতাবাস প্রাঙ্গণে রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের রুহের মাগফেরাত এবং প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের সার্বিক কল্যাণ কামনায় বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।
বিজয় দিবস উদযাপনের দ্বিতীয় পর্বে দুপুরে দূতাবাস মিলনায়তনে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপনের সূচনা হয়।

রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ বক্তব্যের শুরুতে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বের কথা সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন। তিনি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহীদদের, যাদের সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। আরও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বিদেশি বন্ধুসহ যারা বিজয় অর্জনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অবদান রেখেছেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, আমাদের জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সুখী, সমৃদ্ধ ও স্বাধীন ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়ার। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ ধরে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আমরা তার স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে যাচ্ছি। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথ অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে অগ্রগতি ও উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন এবং গত ১৫ বছরে টেকসই উচ্চ প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
তিনি বলেন, বিনিয়োগবান্ধব নীতি, বিশাল অভ্যন্তরীণ বাজার, কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূরাজনৈতিক অবস্থান, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং কঠোর পরিশ্রমী দক্ষ জনগণ বাংলাদেশকে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশে পরিণত করেছে।
রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূর প্রসারী নেতৃত্বে সরকার ‘ভিশন-২০৪১’ এবং মাতৃভূমিকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে এবং এ ব্যাপারে সব প্রবাসীকে তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখার আহ্বান জানান।
এনআই/এসএসএইচ