গাউছুল আজম সিটিতে পবিত্র শবে বরাত মাহফিল উদযাপিত
চট্টগ্রাম নগরীর গাউছুল আজম সিটির কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফ কমপ্লেক্সে ফয়েজে কুরআন, মোরাকাবা ও রাতব্যাপী নফল এবাদতের মধ্য দিয়ে পবিত্র শবে বরাত মাহফিল উদযাপিত হয়েছে। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) লাখো মুসল্লির উপস্থিতিতে এ অনুষ্ঠান হয়।
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত শবে বরাতের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের মোর্শেদে আজম মাদ্দাজিল্লুহুল আলী।
মাহফিলে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, লায়লাতুল নিসফে মিন শাবান তথা ‘শাবান মাসের মধ্য দিবসের রজনী’ মুসলমানদের জন্য মহা সৌভাগ্যের বার্তা নিয়ে হাজির হয়। ইবনে মাজাহ শরীফে বর্ণিত রয়েছে- হযরত আয়েশা (রা:) বর্ণনা করেন এক রাতে আমি রাসুলুল্লাহ (দ.) কে আপন কক্ষে না পেয়ে তার খোঁজে বের হলাম। আমি লক্ষ্য করলাম তিনি জান্নাতুল বাকিতে। উনি উনার মাথা মোবারক আকাশের দিকে তুলে আছেন।
তিনি বললেন, হে আয়েশা! তুমি কি আশঙ্কা করছ যে, আল্লাহ ও তার রাসুল (দ.) তোমার প্রতি অবিচার করবেন? আয়েশা (রা:) বলেন তা নয় বরং আমি ভাবলাম যে, আপনি হয়তো উম্মেহাতুল মুমেনিনদের মধ্যে অন্য কোন হুজরায় তশরীফ নিয়েছেন। তখন তিনি বললেন, মহান আল্লাহ মধ্য শাবানের রাতে দুনিয়ার কাছাকাছি আকাশে অবতরণ করেন এবং বনি কালব গোত্রের মেষপালের পশমের চাইতেও অধিক সংখ্যক লোকের গুনাহ মাফ করেন।
পবিত্র হাদীস শরীফে বর্ণিত এ রাতের গুরুত্ব ও তাৎপর্যকে মুসলমানদের মাঝে তুলে ধরার জন্য কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফে পবিত্র শবে বরাত মাহফিল উদযাপিত হয়ে আসছে। ফয়েজে কুরআন, মোরাকাবা ও নফল এবাদতের বরকতময় কর্মসূচি দিয়ে লায়লাতুল বরাত মাহফিল এর কর্মসূচি সাজানো হয়। খলিলুল্লাহ, আওলাদে মোস্তফা, খলিফায়ে রাসুল (দ.) হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম (রা:) এর এখলাসের উছিলায় ও লাইলাতুল বরাতের বরকতে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্বের জন্য রহমত কামনা করেন।
সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আবুল মনছুর। বক্তব্য রাখেন মাওলানা মুহাম্মদ শফিউল আলম, মাওলানা মুহাম্মদ আবদুস সবুর প্রমুখ।
মিলাদ-কিয়াম শেষে মাননীয় প্রধান অতিথি দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি-সমৃদ্ধি এবং কাগতিয়া আলীয়া গাউছুল আজম দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর ফুয়ুজাত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করেন।
এমএ