কত মানুষের চোখ ইউরোপে?

যুদ্ধ-বিগ্রহ বা অর্থনৈতিক উন্নতিসহ নানা কারণে প্রতি বছরই লাখো অভিবাসী ইউরোপের উদ্দেশে পাড়ি জমান। যারা পাড়ি জমান তাদের অধিকাংশই আশ্রয় (অ্যাসাইলাম) আবেদন করেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের হিসাব অনুযায়ী ২০২০ সালে ২ লাখ ৮০ হাজার বিদেশি নাগরিক ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোতে আশ্রয় আবেদন করেছেন।
এদের মধ্যে ১ লাখ ২৭ হাজার ৭০০ জনকে শরণার্থী হিসেবে এবং ৮০ হাজার ৭০০ জনকে মানবিক কারণে, ৭২ হাজার ৬০০ জনকে সহায়ক সুরক্ষা হিসেবে আশ্রয় দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিইয়ন। এদের মধ্যে ৯৮ হাজার জার্মানিতে আশ্রয় পেয়েছেন। এর পরের অবস্থানে রয়েছে স্পেন। দেশটিতে ৫১ হাজার ২০০ জন আশ্রয় পেয়েছেন। এছাড়া গ্রিসে ৩৫ হাজার ৪০০ জন, ফ্রান্সে ২৯ হাজার ৪০০ জন ও ইতালিতে ২১ হাজার ৩০০ জনকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
আশ্রয় আবেদনকারীদের মধ্যে ৭৪ হাজার ৭০০ শত জনই হচ্ছেন সিরিয়ার নাগরিক। এদের ৬০ ভাগই জার্মানিতে আবেদন করেছেন। ভেনিজুয়েলার রয়েছেন ৪৭ হাজার ১০০ জন। এদের ৯৬ শতাংশই স্পেনে আবেদন করেছেন। এছাড়াও ৪২ হাজার ২০০ জন আফগান নাগরিক আশ্রয় আবেদন করেছেন। এদের ৩৫ শতাংশই আবেদন করেছেন জার্মানিতে।
২০২০ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নে আশ্রয়প্রার্থী ২০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৭তম। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। প্রথমে রয়েছে আফগানিস্তান এবং দ্বিতীয়তে পাকিস্তান। আশ্রয় আবেদনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ১৭তম হলেও চূড়ান্তভাবে খুব কম সংখ্যক বাংলাদেশি আশ্রয় পান।
আরএইচ