সমালোচনার মুখে পদত্যাগে বাধ্য হলেন অন্টারিও’র অর্থমন্ত্রী

লকডাউনে অবকাশ যাপনে গিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন কানাডার অন্টারিও প্রদেশের অর্থমন্ত্রী রড ফিলিপস।
গত ১৩ ডিসেম্বর তিনি ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে বিলাসবহুল ভ্রমণে যান। এরপরই তাকে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণের দাবি ওঠে। পরে বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) দেশে ফিরে চাপের মুখে পদত্যাগ করেন ফিলিপস।
৩১ ডিসেম্বর সকালে দেশে ফিরে বিমানবন্দরে এক সংবাদ সম্মেলনে ফিলিপস তার সফরের জন্য ক্ষমা চান এবং এটিকে ‘গুরুত্বপূর্ণ ভুল‘ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, আমি এমন সময় ভ্রমণে গেছি, যখন এটা করা উচিত ছিল না। এ নিয়ে আমি কোনো অজুহাত দেখাবো না।
উল্লেখ্য, কানাডার সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ অন্টারিওতে সম্প্রতি রেকর্ড করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে অপ্রয়োজনীয় সব ভ্রমণই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই গত ১৩ ডিসেম্বর ফরাসিভাষী ক্যারিবীয় দ্বীপদেশ সেন্ট বার্টসে ব্যক্তিগত ভ্রমণে যান রড ফিলিপস।
অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন বলে এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেন অন্টারিওর প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ড। নতুন অর্থমন্ত্রী হিসেবে ট্রেজারি বোর্ডের সভাপতি পিটার বেথলেনফালভির নাম ঘোষণা করেন ফোর্ড।
বিবৃতিতে ফোর্ড বলেন, ফিলিপসের পদত্যাগ দেখিয়ে দিয়েছে তার সরকার উচ্চমান বজায় রাখার ক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে।
তিনি বলেন, যেখানে অন্টারিওর জনগণকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে, সেখানে তারই মন্ত্রিসভার কোনো সদস্য নির্দেশ অমান্য করে দেশের বাইরে যান, এটা খুবই হতাশাজনক।
ফোর্ড জানান, তার অনুমতি ছাড়াই ফিলিপস দেশের বাইরে যান এবং দেশ ছাড়ার পর অনুমতি নেন।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে অন্টারিও প্রদেশে পুনরায় ২৬ ডিসেম্বর থেকে লকডাউন শুরু হয়েছে। চলবে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে শুধু নিত্যপ্রয়োজনীয় ও খাবার দোকান (ডেলিভারি) ছাড়া সব বন্ধ থাকবে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কানাডায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ৮২ হাজার ৬৯৭ জন। মারা গেছেন ১৫ হাজার ৬০৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৮১৯ জন।
কানাডার প্রধান চারটি প্রদেশ অন্টারিও, বৃটিশ কলম্বিয়া, আলবার্টা ও কুইবেকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এতে হাসপাতাল, নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে চাপ বেড়েই চলেছে।
এসআরএস