কুয়ালালামপুর বুকিত জলিল ক্যাম্প পরিদর্শন শ্রম কাউন্সিলারের

মালয়েশিয়ায় নিয়োজিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের শ্রম কাউন্সিলর মো. জহিরুল ইসলাম বুধবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে কুয়ালালামপুর বুকিত জলিল ইমিগ্রেশন ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন।
পরিদর্শনকালে তিনি বাংলাদেশিদের সঙ্গে কথা বলেন ও বন্দিদের নিয়ে ক্যাম্প কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন হাইকমিশনের কল্যাণ সহকারী মো. মুকছেদ আলী ও লোকমান হোসেন।
বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার জন্য বন্দিদের অনেকের ট্রাভেল পাস এবং অনেকের বিমান ভাড়া বাবদ অর্থ সহায়তা প্রয়োজন। বিষয়টি মতবিনিময়কালে ক্যাম্প কর্তৃপক্ষরা জানান।

হাইকমিশনের পক্ষে বন্দিদের সব রকমের সহায়তা ও তাদেরকে দ্রুত বাংলাদেশে পাঠানোর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন শ্রম কাউন্সিলর জহিরুল ইসলাম। মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন বিভাগ হাইকমিশনের অনুরোধে সাড়া দিয়ে ক্যাম্প পরিদর্শনে সহায়তা করায় ক্যাম্প কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। শ্রম কাউন্সিলর এ সময় বুকিত জলিল ক্যাম্পের সব বাংলাদেশি দ্রুত দেশে চলে যাওয়া আশা করেন।
হাইকমিশন সূত্রে জানা গেছে, দেশটির ইমিগ্রেশন ক্যাম্পে মালয়েশিয়ান আইন-অনুযায়ী পাসপোর্ট ও ভিসা না থাকা, পাসপোর্ট ও ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়া এবং সাগর বা স্থল পথে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের পুলিশ গ্রেফতার করে বিচার ও জেল শেষে দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য রাখা হয় বুকিত জলিল ক্যাম্পে। এরপর হাইকমিশন থেকে অস্থায়ী ট্রাভেল পাশ ইস্যু করে বাংলাদেশে পাঠানো হয়। এ ক্ষেত্রে নিজেকে বিমান ভাড়া বহন করতে হয়।

বুকিত জলিল ক্যাম্প দেশে ফেরতদের জাতীয়তা নিরূপণ করে ট্রাভেল পাশ ইস্যু করা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জনা গেছে।
বাংলাদেশ হাইকমিশন এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নিয়েছে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বন্দিশিবিরে যারা আটক আছেন তাদের দ্রুত দেশে পাঠানোর সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যাদের কেউ নেই অথবা টিকিটের ব্যবস্থা হচ্ছে না তাদের দূতাবাসের পাশাপাশি জনহিতৈষী কাজে নিয়োজিতদের সহযোগিতায় বিমান টিকিট দিয়ে তাদের দেশে পাঠানো হয়। তবে বাংলাদেশি কমিউনিটি ও প্রবাসীদের পরিবারের দাবি, সরকারিভাবে বিমান টিকেটের ব্যবস্থা করা হলে ভোগান্তি অনেক কমবে।
ওএফ