রমজান ছাড়াও যে রোজাগুলো পালন করা জরুরি
![রমজান ছাড়াও যে রোজাগুলো পালন করা জরুরি](https://cdn.dhakapost.com/media/imgAll/BG/2024April/ramadan-makruh-20240418140707.jpg)
রমজানের রোজা ফরজ। এই বাইরে পুরো বছর বিভিন্ন নফল রোজার রয়েছে যা ইচ্ছাধীন। অর্থাৎ, কেউ চাইলে রাখতে পারেন না রাখলে কোনো সমস্যা নেই। তবে ফজিলত এবং নিজের পরকালের জীবনের উন্নতির কথা ভেবে এই রোজাগুলো রাখা ভালো।
রমজানের রোজা এবং নফল রোজার বাইরে আরও কিছু রোজা আছে যা বছরের যেকোনো সময় পালন করা জরুরি। এমন কয়েকটি রোজা হলো—
কাজা রোজা
কাজা রাখা রাখা অপরিহার্য আমলগুলোর অন্যতম। কেউ যৌক্তিক ও সংগত কারণে রমজানের রোজা আদায় করতে না পারলে পরে তার কাজা আদায় করতে হবে। বছরের যেকোনো সময় সুবিধামতো এই রোজা পালন করা যায়।
আল্লাহ বলেন, ‘সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা এই মাস পাবে তারা যেন এই মাসে রোজা পালন করে। আর কেউ অসুস্থ হলে বা সফরে থাকলে অন্য সময় এই সংখ্যা পুরো করবে।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৮৫)
আরও পড়ুন
কাফফারার রোজা
কেউ রোজার মাসে রোজার শুরু করার পর স্বেচ্ছায় রমজানের রোজা ভেঙে ফেললে কাজাসহ কাফফারার রোজা পালন করতে হয়। কাফফারার জন্য লাগাতার ৬০টি রোজা রাখতে হয়।
আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি নবী সা.-এর কাছে এসে বলল, হে আল্লাহর রাসুল! আমি ধ্বংস হয়ে গিয়েছি। রাসুলুল্লাহ সা. বলেন, কিসে তোমাকে ধ্বংস করেছে? সে বলল, রমজানে রোজা অবস্থায় আমি আমার স্ত্রীর সঙ্গে মিলিত হয়েছি। রাসুলুল্লাহ সা. বলেন, তোমার দাস মুক্তির সামর্থ্য আছে? সে বলল, না। রাসুলুল্লাহ সা. বলেন, তুমি কি দুই মাস লাগাতার রোজা রাখতে পারবে? সে বলল, না। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তুমি কি ৬০ জন মিসকিনকে খাবার খাওয়াতে পারবে? সে বলল, না। (বুখারি, হাদিস : ১৮৩৪; মুসলিম, হাদিস : ২৬৫১)
এ হাদিস থেকে স্বেচ্ছায় রমজানের রোজা ভেঙে ফেললে কাফফারার বিধান প্রমাণিত হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন কাজের কাফফারায় রোজা পালন করার বিধান রয়েছে।
মানতের রোজা
এইসব রোজার বাইরে কেউ রোজা রাখার মানত করে থাকলে যে উদ্দেশ্যে মানত করা হয়েছিল তা পুরা হলে মানতকারীর ওপর রোজা পালন করা অপরিহার্য। নির্দিষ্ট দিনে রোজা পালন করার মানত করলে নির্দিষ্ট দিনে আর অনির্দিষ্ট দিনে রোজা পালন করার মানত করলে যেকোনো দিনে রোজা পালন করতে হবে।
আল্লাহ বলেন, ‘আর তাদের উচিত মানতকে পুরা করা।’ (সূরা হজ, আয়াত : ২৯)