ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের দোয়া
![ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের দোয়া](https://cdn.dhakapost.com/media/imgAll/BG/2021May/eid-greating-20210511142844.jpg)
ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা। মুসলিমদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ও ইবাদত। পৃথিবীর দেশে দেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা— ১.৮ বিলিয়ন মুসলমানের প্রাণজ সংস্কৃতি। বাঙালি সংস্কৃতিরও গুরুত্বপূর্ণ সুষমা-রূপ বটে। ঈদের দিন ধনি-গরিবের ভেদাভেদ থাকে না। সবাই কাঁধে কাঁধ মেলানো, উষ্ণ অভ্যর্থনা ও শুভেচ্ছা বিনিময়, পাড়া-প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনের খোঁজখবর নেওয়া, পরস্পর মিলে-মিশে খাবার গ্রহণ— ইত্যাদি বাঙালি সমাজের ঐতিহ্য।
ঈদ মোবারক বা ঈদ মুবারক
ঈদ মোবারক বা ঈদ মুবারক; আরবিতে عيد مبارك। ঐতিহ্যবাহী শুভেচ্ছাবাক্য। ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহায় পরস্পরকে শুভেচ্ছা জানাতে এই শব্দ ব্যবহার করা হয়। ঈদ শব্দের অর্থ আনন্দ, খুশি বা উদযাপন ও উচ্ছ্বাস। আর মোবারক শব্দের অর্থ কল্যাণময় ও বরকতপূর্ণ। সুতরাং ঈদ মোবারকের অর্থ হলো- ঈদ কল্যাণময় হোক। অথবা আনন্দ উদযাপন কল্যাণজনক হোক।
আমাদের দেশে ‘ঈদ মোবারক’ বলে ঈদের শুভেচ্ছা জানানো হয়। এই প্রচলনটা বেশ সুন্দর ও মানানসই। তবে সালামের আগেই ‘ঈদ মোবারক’ বলা উচিত নয়। কারণে এভাবে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে গেলে— আগে সালাম জানানোর আমলটুকু হয় না।
তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম
ঈদের দিন একে অপরের সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে শুভেচ্ছা বিনিময় করা সুন্নত। আর ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করার সর্বোত্তম পদ্ধতি হলো— এ দোয়া পাঠ করা :
تقبل الله منا ومنكم
উচ্চারণ : তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম।
অর্থ : আল্লাহ আমাদের ও আপনার পক্ষ থেকে কবুল করুন।
ওয়াসিলা (রা.) বলেন, আমি রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে ঈদের দিন সাক্ষাৎ করলাম। আমি বললাম, ‘তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকা’। মহানবী (সা.) বললেন, ‘তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকা।’ (বায়হাকি, হাদিস : ৩/৪৪৬)
হাদিস শরিফে এসেছে- জুবাইর ইবনু নুফাইর (রা.) বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘নবীজি (সা.)-এর সাহাবোয়ে কেরাম ঈদের দিন পরস্পর সাক্ষাৎ হলে বলতেন ‘তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়ামিন কুম’ আল্লাহ আমার এবং আপনার যাবতীয় ভালো কাজ কবুল করুক। (ফাতহুল কাদির, খণ্ড : ০২, পৃষ্ঠা : ৫১৭)
পুনশ্চ :
বর্তমানে করোনাসংক্রান্ত পরিস্থিতি বিবেচনায় সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কেউ যদি এখন সামাজিক দূরত্ব মেনে না চলে; তাহলে তিনি গুনাহগার হবেন। তাই সবার সতর্কতা একান্ত কাম্য।