তাওয়াফের সময় অজু ভেঙে গেলে করণীয় কী?

হজ ও ওমরার সময় কাবা শরিফ তাওয়াফ করতে হয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তারপর তারা যেন তাদের অপরিচ্ছন্নতা দূর করে এবং তাদের মানত পূর্ণ করে ও তাওয়াফ করে প্রাচীন গৃহের।’ (সুরা : হজ, আয়াত : ২৯)
অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আর আমি ইবরাহিম ও ইসমাঈলকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম যে তোমারা আমার ঘরকে তাওয়াফকারী, ইতিকাফকারী ও রুকু-সিজদাকারীদের জন্য পবিত্র করো।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১২৫)
কাবা তাওয়াফের ফজিলত সম্পর্কে ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, বাইতুল্লাহর চারদিকে তাওয়াফ করা নামাজ আদায়ের অনুরূপ। তবে তোমরা এতে (তাওয়াফকালে) কথা বলতে পারো। সুতরাং তাওয়াফকালে যে ব্যক্তি কথা বলে সে যেন ভালো কথা বলে। (তিরমিজি, হাদিস : ৯৬০)
পবিত্র অবস্থায় তাওয়াফ শুরু করতে হয় এবং পবিত্র অবস্থায় শেষ করতে হয়। পবিত্র অবস্থায় শুরু করার পর তাওয়াফের সময় অজু ভেঙে গেলে নিয়ম হলো—
তিন চক্করের কম সম্পন্ন হয়ে থাকলে অজু করার পর নতুন করে শুরু থেকে তাওয়াফ করা উত্তম। আর যদি তিন চক্করের বেশি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে অজু করে অবশিষ্ট তাওয়াফ সম্পন্ন করলে যথেষ্ট হবে। তবে কেউ যদি নতুন করে তাওয়াফ করে তাতেও অসুবিধা নেই। (ফতোয়া শামী: ২/৪৯৭)
আরও পড়ুন
তাওয়াফের সময় যা পড়বেন
কাবা শরিফ তাওয়াফের সময় আল্লাহ তায়ালার জিকির করতে হয় এবং মনে মনে দোয়া করতে হয়। তবে এ সময়ের জন্য নির্দিষ্ট কোনও দোয়া নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছ থেকে বর্ণিত হয়নি। তবে রুকনে ইয়ামেনী ও হাজারে আসওয়াদের মাঝে নিচের দোয়াটি পড়তেন বলে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। দোয়াটি হলো-
رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানা, ওয়াফিল আখিরাতি হাসানা, ওয়াকিনা আজাবান্নার। ’ অর্থ : হে আমার প্রভু!
আমাকে দুনিয়াতে কল্যাণ দান কর, আখেরাতেও কল্যাণ দান কর এবং আমাকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও।(সূরা বাকারা, আয়াত, ২০১, মুসনাদে আহমাদ (৩/৪১১), সহিহ ইবনে হিব্বান (৯/১৩৪), মুস্তাদরাকে হাকেম (১/৬২৫)