পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ শুরু ও শেষের সময় কখন?

নামাজ ইসলামের অপরিহার্য একটি ইবাদত। নামাজ আদায়ের বিষয়ে পবিত্র কোরআনে ৮২ বার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দিন-রাতে পাঁচবার প্রত্যেক আকেল (জ্ঞানসম্পন্ন) ও বালেগ (প্রাপ্তবয়স্ক) মুসলমানের জন্য নামাজ আদায় করা ফরজ। আল্লাহ বলেন, ‘ নিশ্চয় সালাত মুমিনদের উপর নির্দিষ্ট সময়ে ফরজ।’ (সুরা নিসা, আয়াত: ১০৩)
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত একটি হাদিসে উল্লেখ আছে, জিবরাইল (আ.) দুই দিন রাসুল সা.-কে নামাজের সময় শিখিয়েছেন। প্রথম দিন প্রতিটি নামাজের শুরুর সময়ে এবং দ্বিতীয় দিন শেষ সময়ে। (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস: ৩৯৩)
বুরায়দা রা. থেকে বর্ণিত, এক সাহাবি রাসুল (সা.)-এর কাছে নামাজের ওয়াক্ত সম্পর্কে জানতে চাইলে, তিনি বললেন, ‘তুমি এ দু’দিন আমাদের সঙ্গে সালাত আদায় কর।’ দুইদিন পর রাসুলুল্লাহ (সা.) সেই প্রশ্নকারীকে ডাকলেন। সাহাবি উপস্থিত হলে রাসুল (সা.) বললেন, এই দুই সময়ের মধ্যেই তোমাদের সালাতের সময় নির্ধারিত। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৬১৩)
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের শুরু ও শেষ সময়
ফজরের নামাজ
শুরু সময়: ফজরের সময় শুরু হয় সুবহে সাদিক থেকে। এটি সাধারণত সূর্যোদয়ের প্রায় দেড় ঘণ্টা আগে শুরু হয়।
শেষ সময়: ফজরের সময় শেষ হয় সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে। (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ৩৯৩)
আরও পড়ুন
জোহরের নামাজ
শুরুর সময়: জোহরের সময় শুরু হয় সূর্য যখন মাথার ওপর থেকে পশ্চিম দিকে হেলে পড়ে।
শেষ সময়: জোহরের সময় শেষ হয় যখন কোনো বস্তুর ছায়া তার নিজের দৈর্ঘ্যের সমান বা দ্বিগুণ হয় (হানাফি মাজহাব অনুযায়ী দ্বিগুণ)। এটি সাধারণত আসরের সময় শুরুর আগ পর্যন্ত। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ১৪৯)
আসরের নামাজ
শুরু সময়: আসরের সময় শুরু হয় যখন কোনো বস্তুর ছায়া তার নিজের দৈর্ঘ্যের সমান হয় (শাফিই মাজহাব) বা দ্বিগুণ হয় (হানাফি মাজহাব)।
শেষ সময়: আসরের সময় শেষ হয় সূর্যাস্তের আগে। তবে সূর্য হলুদ হয়ে গেলে আসর নামাজ আদায় করা মাকরুহ। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫৫৩)
মাগরিবের নামাজ
শুরু সময়: মাগরিবের সময় শুরু হয় সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে।
শেষ সময়: মাগরিবের সময় শেষ হয় যখন পশ্চিম দিগন্তের লাল আভা অদৃশ্য হয়। সাধারণত সূর্যাস্তের প্রায় এক ঘণ্টার মধ্যে লাল আভা মুছে যায়। (সুনানে নাসঈ, হাদিস : ৫২৭)
এশার নামাজ
শুরুর সময়: এশার সময় শুরু হয় পশ্চিম দিগন্তের লাল আভা অদৃশ্য হওয়ার পর।
শেষ সময়: এশার সময় চলে মধ্যরাত পর্যন্ত। তবে ফজরের সুবহে সাদিকের আগ পর্যন্ত এশা আদায় করা যায়, যদিও মধ্যরাতের পর মাকরুহ। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৬১২)