মুমিনের জীবনের শ্বাস-প্রশ্বাস নামাজ

ইন্টারনেটের তথ্যে বলা হয়েছে, মানুষ সর্বোচ্চ ৩০ সেকেন্ড থেকে ২ মিনিট শ্বাস আটকে রাখতে পারে। এর বেশি হলে মৃত্যু হতে পারে। একজন মুসলিমের জীবনের বাস্তবতাও এমন যে নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ বাদ অভ্যাস শ্বাস আটকানোর মতো। এতে মন অস্থির হয়ে উঠে এবং একসময় কঠিন দুঃখ-কষ্টে পড়তে হয়।
নামাজ একজন মুসলিমের জীবনে শ্বাস-প্রশ্বাসের মতো। নিজের শ্বাস নিজেকেই নিতে হয়। বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধুকে দিয়ে কেউ শ্বাস নিতে পারে না। টাকা দিয়েও কারো মাধ্যমে শ্বাস নেওয়া যায় না, নিজেকেই শ্বাস নিতে হয়। নামাজও তেমনই নিজেকেই পড়তে হবে।
শ্বাস নেওয়া মানুষের এক অনিচ্ছাকৃত স্বভাব। চিন্তা করে মনে রাখতে হয় না। নামাজও জীবনের এমন স্বাভাবিক অভ্যাসে পরিণত হওয়া উচিত।
নামাজের মাধ্যমে আল্লাহর সঙ্গে আমাদের সংযোগ তৈরি হয়।তাই নামাজে অভ্যস্ত হতে হবে।
নামাজ ছেড়ে দিলে আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের অক্সিজেন বন্ধ হয়ে যায়। জীবনের সমস্যা, সংকটে আল্লাহর দিকে ফিরে গেলে এবং সালাত আঁকড়ে ধরলে একজন মুসলিম স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারে।
অনেকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ঠিকমতো পড়ার পরও তাদের জীবনে কঠিন সময় আসে, তাদের করণীয় কী?
জীবনে কখনো শ্বাসকষ্ট বা আতঙ্কে শ্বাস অস্থির হয়ে পড়েছে? তখন আপনি শ্বাস বন্ধ করেন না। শ্বাস চালু রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা করেন। তাই এমন পরিস্থিতিতে আপনি নামাজ ও ইবাদতে আরও মনোযোগী হোন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, হে মুমিনগণ, ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য চাও। (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৫৩)।
এনটি