কাজের কারণে জুমা ছুটে গেলে করণীয় কী?

প্রত্যেক বালেগ ও সুস্থ মুসলমানের ওপর জুমার নামাজ ফরজ। আল্লাহ তায়ালা কোরআনে বলেন, হে মুমিনগণ! জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে দ্রুত ছুটে যাও এবং বেচাকেনা বন্ধ করো। এটা তোমাদের জন্য উত্তম যদি তোমরা উপলব্ধি করো। (সুরা জুমা, আয়াত : ৯)
নবী করিম (সা.) জুমার নামাজের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন, যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত পর পর তিন জুমা পরিত্যাগ করে, আল্লাহ তায়ালা তার অন্তরে মোহর এঁটে দেন।’ (বুখারি, হাদিস : ১০৫২)
শরিয়ত স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, বৈধ অজুহাত থাকলে জুমার নামাজের বদলে জোহর পরা যেতে পারে। অসুস্থতা, রাস্তায় অতিরিক্ত কাদা বা বৃষ্টি, কারাবন্দি অবস্থা, দুর্বল বা রোগীর সেবা—এসব যুক্তিসঙ্গত কারণের কথা উল্লেখ করেছেন মালিকি মাযহাবের ইমাম খলিল।
কেউ যদি কাজ বা অন্য কোনো কারণে জুমার নামাজ পড়তে না পারেন তাহলে তার জন্য জুমা না পড়ে চার রাকাত জোহর নামাজ আদায় করলে যথেষ্ট হবে। আল্লাহ কোনো মানুষকে তার সাধ্যের বাইরে দায়িত্ব দেন না। কোরআনেই ঘোষণা আছে—তিনি দ্বীনে কোনো সংকীর্ণতা রাখেননি।
সুতরাং কেউ যদি এমন কোনো পরিস্থিতিতে পড়ে যে এর কারণে জামাতে জুমার নামাজে অংশ নেওয়া সম্ভব না হয়, তাহলে তার জন্য চার রাকাত জোহর আদায় করে নিতে হবে। তবে ইচ্ছাকৃতভাবে জুমার নামাজের প্রতি অবহেলা করা যাবে না বা ইচ্ছাকৃতভাবে জুমা ছেড়ে দিয়ে শুধু জোহর পড়া যাবে না।
এনটি