ভালো মুসলিমের ৪ গুণ

একজন মুসলিমের ভালো হওয়ার জন্য প্রথম গুণ হলো আল্লাহর একত্ববাদ, নবী-রাসুল, আসমানী গ্রন্থ, ফেরেশতা ও তাকদিরের ওপর বিশ্বাস রাখা। ভালো মানুষ হওয়ার জন্য এগুলো প্রথম শর্ত। এরপর আমল,ইবাদত, দয়া, সহমর্মিতা, পরিবেশ, প্রাণীর সুরক্ষা, সত্যবাদিতা ও ধৈর্যসহ অন্যান্য গুণ একজন মানুষকে ভালো হিসেবে পরিচিত করে।
নিচে এমন চারটি গুণ তুলে ধরা হলো, যা একজন মানুষকে সত্যিকার অর্থে ‘ভালো’ করে তোলে।
১. উদারতা
আল্লাহর ওপর ঈমান ও বিধিবদ্ধ ইবাদত পালনের পর সৃষ্টির প্রতি উদারতা একজন মুসলিমের গুরুত্বপূর্ণ গুণ। মানুষ হোক বা প্রাণী সবাইকে মর্যাদা, করুণা ও সহায়তা করা ইসলামের দৃষ্টিতে মহৎ কাজ। অকারণে কাউকে কষ্ট না দেওয়া, পরিবেশ নষ্ট না করা, প্রয়োজন ছাড়া পশু-পাখিকে হত্যা না করা এসবই উদারতার অংশ। সৎ নিয়তে এগুলো করলে তা আল্লাহর কাছে কবুল হয়।
২. সবার প্রতি সদয় আচরণ
মা-বাবা, স্ত্রী-সন্তান, আত্মীয়-পরিজন এবং অপরিচিত সবার প্রতি সদয় হওয়াই মুমিনের পরিচয়। সংকীর্ণ হৃদয়, হিংসা-বিদ্বেষ, ক্ষুদ্র মানসিকতার স্থান নেই ইসলামে। মানুষ ও সৃষ্টিজগতের প্রতি মমতা দেখানোও ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত।
৩. ধৈর্য
দুঃখ–কষ্ট, পরীক্ষার মুহূর্ত, ব্যবসা-বাণিজ্যের লাভ-ক্ষতি, পারিবারিক দুঃখ, কষ্ট সবকিছুতে ধৈর্য ধারণ করা ভালো মানুষের বিশেষ বৈশিষ্ট্য। পবিত্র কোরানে আল্লাহ তায়ালা বলেন, হে মুমিনরা, ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন। (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৫৩)
ধৈর্য মানুষকে অভিযোগের বদলে আল্লাহর ওপর ভরসা করতে শেখায়। এতে প্রতিশোধপরায়ণ মনোভাব কমে যায় এবং মানুষের স্বভাব আরও প্রশান্ত হয়।
৪. সত্যবাদিতা
মিথ্যা এখন এতো স্বাভাবিক হয়ে গেছে যে মানুষ নির্ভাবনায় মিথ্যা বলে ফেলে। চাকরির আবেদন হোক, কথাবার্তা কিংবা প্রতিশ্রুতি দেওয়া সব ক্ষেত্রে এখন অবলীলায় মিথ্যা বলে মানুষ। কিন্তু সত্যিকার ভালো মানুষ কখনো মিথ্যার আশ্রয় নেয় না, এমনকি রসিকতার ছলেও মিথ্যা বলে না। সত্যবাদিতা একজন ঈমানদারের অন্যতম গুণ।
শেষ কথা
ভালো মানুষ হওয়া শুধু মুখের কথা নয়; এটি বিশ্বাস, ইবাদত, আচরণ ও চরিত্রের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়। যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এসব গুণ অর্জনের চেষ্টা করে, মানুষও তাকে সম্মান করে এবং সে সবার সামনে প্রশংসিত হয়।
এনটি